এক বিবৃতিতে রোববার এ ব্যাপারে নিজেদের
অবস্থান জানায় বায়ার্ন।
জার্মান জাতীয় দলের সাবেক সহকারী কোচ
ফ্লিক ২০১৯ সালের নভেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে বায়ার্নের দায়িত্ব নেন। পরের
মাসেই তার সঙ্গে স্থায়ী চুক্তি করে কর্তৃপক্ষ, চুক্তির মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত।
৫৬ বছর বয়সী এই জার্মানের হাত ধরে ২০১৯-২০
মৌসুমে ইতিহাস গড়ে দলটি। বার্সেলোনার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে বছরে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক
মিলিয়ে ছয় শিরোপার সবগুলোই ঘরে তোলে তারা।
ভলফসবুর্কের মাঠে শনিবার লিগ ম্যাচে
৩-২ গোলে জয়ের পর ফ্লিক হঠাৎই জানান, মৌসুম শেষে কোচের দায়িত্ব ছাড়তে চান তিনি!
বায়ার্ন জানিয়েছে, মৌসুমের বাকি সময়ে
খেলায় মনোযোগ ধরে রাখার ব্যাপারে সম্মত থাকার কথা বলেছিলেন ফ্লিক।
“হান্সি ফ্লিকের এক তরফা ঘোষণার অনুমোদন দিচ্ছে
না বায়ার্ন মিউনিখ। আগে থেকেই ঠিক করা পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী শনিবার মাইন্স ম্যাচের
পর আলোচনা চলবে।”
কয়েক মাস ধরে বায়ার্নের স্পোর্টিং ডিরেক্টর
হাসান সালিহামদিজিচের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছিল ফ্লিকের। গণমাধ্যমের খবর, খেলোয়াড় কেনা-বেচায়
নিজের ইচ্ছার আরেকটু বেশি প্রতিফলন চাচ্ছিলেন কোচ।
আগামী জুন-জুলাইয়ের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
পর্যন্ত জার্মানি জাতীয় দলের দায়িত্বে আছেন ইওয়াখিম লুভ। তার উত্তরসূরি হিসেবে ধারণা
করা হচ্ছে ফ্লিককে। ২০১৪ সালে জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ের মিশনে লুভের সহকারী থাকা ফ্লিক
অবশ্য জানান, ভবিষ্যতের ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি তিনি।