রোববার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, ”সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিশেষ ফ্লাইটসহ ছয়টি বিশেষ ফ্লাইটে নয় শতাধিক বিদেশি নাগরিক নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ফেরত যাওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশই ’নিয়মিত’ ফ্লাইটের যাত্রী। নিয়মিত ফ্লাইট বন্ধ থাকায় তারা বাংলাদেশে আটকা পড়েন।
”তারা তাদের দূতাবাসগূলোর সঙ্গে নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে যোগাযোগ করে এবং এই প্রেক্ষিতে দূতাবাসগুলো বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় ভাড়া করা বিমানের মাধ্যমে তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে।”
রোববার একটি বিশেষ ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের ৩২২ জন নাগরিক ঢাকা ছাড়েন।
যুক্তরাষ্ট্রগামী অধিকাংশ যাত্রীই বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “তারা বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজ নিজ পরিবারের সঙ্গে থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে যারা স্থায়ীভাবে বসবাস করেন, তাদের একটি বড় অংশের সেখানে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফিরে যাওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে কারণেই নির্ধারিত সময়ের আগে তারা ফিরে গেছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
জাপান ও রাশিয়ার নাগরিকদের বাংলাদেশ ছাড়ার কারণ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “তাদের একটি বড় অংশ এদেশে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করতেন, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে তাদের কোনো কাজ না থাকায় নিজ পরিবারের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন।
”পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের সকলেই বাংলাদেশে ফিরে আবার কাজে যোগ দেবেন বলে আশা করা যায়।”
বাংলাদেশে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরাও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন বলে মনে করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।