রোববার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে ফাহিম বলেছেন, এই প্যাকেজ ক্ষুদ্র-মাঝিারি (এমএমই) ও বড় ব্যবসা এবং কৃষি, সেবা ও উৎপাদনশীল খাতকে সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্যাকেজের অর্থ যথার্থভাবে খরচ হবে প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, “এর মাধ্যমে চাকুরি হারানোর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা ও সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সচল ও স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।”
“প্যাকেজে সরকারি ব্যয় বাড়ানোর দিকে জোর দেয়া হয়েছে। এটা খুবই ইতিবাচক।”
রোববার সকালে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচটি প্যাকেজের আওতায় মোট ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, যা জিডিপির ২.৫২ শতাংশ।
প্যাকেজের প্রতিক্রিয়ায় এফবিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, “আমি মনে করি, সরকারি ব্যয় বাড়ানোর মাধ্যমে অর্থনীতি সচল থাকবে; স্বাভাবিক গতি বজায় থাকবে। কারণ প্রতিটি পদক্ষেপ খুব টার্গেটেড ও ফোকাসড। কোন খাতই বাদ পড়েনি।”
ফাহিম বলেন, প্রণোদনা প্রদান সত্ত্বেও যদি কোন ব্যক্তি বেকার হন অথবা বাড়ি ফিরে যান, তাহলে সেই ব্যক্তির জন্য ৬ মাসের বেতন-ভাতা ও খাবারের ব্যবস্থা করবে সরকার। এটা খুবই ইতিবাচক।
প্রণোদনা প্যাকেজটি মুলত বেকারত্ব যেন না বাড়ে সেদিকে জোর দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
“এ বছরটা একটু কঠিন যাবে সেটা আমরা জানি। তবে আমার বিশ্বাস, সরকার ও বেসরকারি খাত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এবং প্যাকেজে নেয়া পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা এই কঠিন সময় কাটিয়ে উঠতে পারবো।”