বিবিসির খবরে বলা হয়, চেক কূটনীতিকদের রাশিয়া ছাড়তে এক দিন সময় দেওয়া হয়েছে যদিও চেক প্রজাতন্ত্র রুশ কূটনীতিকদের জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল।
শনিবার ১৮ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় দেশটি। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চেক প্রজাতন্ত্রের এই সিদ্ধান্তকে ‘নজিরবিহীন’ এবং ‘বিদ্বেষপূর্ণ পদেক্ষপ’ বলে অভিহিত করে।
তার পরদিনই রাশিয়া পাল্টা ২০ চেক কূটনীতিককে বহিষ্কারের এই ঘোষণা দিল।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি বলা হয়, “সম্প্রতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করার বাসনায় আটলান্টিকের ওপারের মনিবদেরও ছাড়িয়ে গেছে চেক কর্তৃপক্ষ।”
চেক গোয়েন্দারা দাবি করছেন, রাশিয়ার এই কূটনীতিককরা গুপ্তচরের কাজ করছেন। ২০১৪ সালে একটি গোলাবারুদের গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনায় তারা সন্দেহভাজন বলেও দাবি তাদের।
চেক রাজধানী প্রাগের প্রায় ৩৩০ কিলোমিটার দূরে ভার্বেটিসে ২০১৪ সালের অক্টোবরে কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বেসরকারি কোম্পানির দুইজন কর্মকর্তা নিহত হন। ওই বেসরকারি কোম্পানি রাষ্ট্রীয় সামরিক সংগঠনের কাছ থেকে সাইটটি ভাড়া নিয়েছিল।
রাশিয়ার ১৮ কূটনীতিককে বহিষ্কার করছে চেক প্রজাতন্ত্র
চেক প্রজাতন্ত্রকে কঠোর জবাবের হুঁশিয়ারি রাশিয়ার
এ ঘটনায় চেক প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ বাবিস এক বিবৃতিতে বলেন, “ভার্বেটিস শহরে গোলাবারুদের ডিপো বিস্ফোরণে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা জিআরইউ জড়িত থাকার ব্যাপারে ঘোরতর সন্দেহ আছে।”
ওদিকে রাশিয়ার একজন আইনপ্রণেতা চেক প্রধানমন্ত্রীর এমন অভিযোগকে পুরোপুরি অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
চেক প্রজাতন্ত্র বলছে, যুক্তরাজ্যে ২০১৮ সালে বিষাক্ত রাসায়নিক ‘নোভিচক’ হামলার জন্য যে দুই রুশ গুপ্তচরকে সন্দেহ করা হয়, তারাই ভার্বেটিসের গোলাবারুদের গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত।
সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ই্ইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় এসব অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
মধ্য ইউরোপের এ দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও নেটো জোটের সদস্য। ১৯৮৯ সালে কমিউনিস্ট শাসনের পতনের পর দু’দেশ এবারই সবচেয়ে বড় বিরোধে জড়াল।