শরীয়তপুর জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুমন তালুকদার, চালক ইলিয়াসসহ স্থানীয়রা জানায়, গাড়ির চাকা ঘুরলেই ক্ষুধার জ্বালা মিটাতে পারে শরীয়তপুরের প্রায় ১৫শ বাস শ্রমিক। চলমান পরিস্থিতিতে গাড়ি বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে বড় কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানান তারা।
লকডাউনের শুরু থেকেই পুরো জেলার দুই শতাধিক বাস মিনিবাসের চালক, হেলপারসহ শ্রমিকরা চরম বিপাকে পরেছেন তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে।
শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ, অটোরিকশা, ভ্যান ও অবৈধ নছিমন, করিমন, বটবটি চলাচল করলেও বন্ধ রয়েছে শুধু বাস মিনিবাস। এখনও তাদের কেউ কোনো সরকারি বে সরকারী ত্রাণ পাননি। তাদের কোনো কাজ নেই কর্ম নেই। অনেকে তাদের নিজেদের ও পরিবারের ওষুধ পর্যন্ত কিনতে পারছেন না।
সরকারি কোনো সহায়তা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে জানান তারা।
শরীয়তপুরের বাস চালক মো. সেলিম মিয়া বলেন, “আমরা এ লকডাউনের শুরু থেকে গাড়ি বন্ধ রাখায় চরম সংকটের মধ্যে আছি। সরকারি কোনো সহযোগিতা আমরা এখনও পাইনি। সরকারি সুযোগ সুবিধা না পেলে আমাদের পথে বসতে হবে।”
শরীয়তপুর জেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক চৌকিদার বলেন, “অবৈধ নসিমন, করিমন ,বটবটি অটোরিকশা সবকিছু চলে। কিন্ত আমাদের বাস চলে না। শ্রমিকদের কথা বিবেচনা না করে যেন সরকার আবার লক ডাউন না দেয় আমার এটা প্রত্যাশা করি।”
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই বলেন, “সরকারি সাহাষ্য আসলে আমরা শরীয়তপুরের বাস শ্রমিকদের তালিকা করে তাদের পর্যায়ক্রমে সরকারি সহায়তা করব।”