২০২৪-২৫ মৌসুম থেকে নতুন আঙ্গিকে মাঠে গড়াবে ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতাটি। সোমবার
উয়েফা কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
শুরু হচ্ছে নতুন একটি প্রতিযোগিতা- উয়েফা ইউরোপা কনফারেন্স লিগ। চ্যাম্পিয়ন্স
লিগ ও উয়েফা ইউরোপা লিগের পর হবে এর অবস্থান।
নতুন রূপে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূল পর্বের দল সংখ্যাও বেড়েছে; ৩২ দলের জায়গায় এখন
অংশ নেবে ৩৬টি।
এতদিন চার দলের গ্রুপ পর্বে প্রতিটি দল প্রতিপক্ষ তিন দলের সঙ্গে হোম-অ্যাওয়ে
মিলিয়ে খেলত ৬টি ম্যাচ। সেখানে এখন প্রতিটি দল গ্রুপ পর্বে ১০টি ম্যাচ খেলবে এবং সবগুলোই
হবে ভিন্ন ভিন্ন দলের বিপক্ষে। এর মধ্যে পাঁচটি ঘরের ও পাঁচটি প্রতিপক্ষের মাঠে।
৩৬ দলের লড়াইয়ে প্রথম আটটি দল সরাসরি উঠবে শেষ ষোলোয়। আর ৯ থেকে ২৪তম স্থানে
থাকা দলগুলোর মধ্যে দুই লেগের প্লে-অফের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে শেষ ষোলোর বাকি আট
দল।
উয়েফার দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতা ইউরোপা লিগ (প্রাথমিক পর্বে ৮ ম্যাচ) ও তৃতীয়
সেরা ইউরোপা কনফারেন্স লিগেও (প্রাথমিক পর্বে ৬ ম্যাচ) একইরকম পরিবর্তন আসবে। আলোচনা
সাপেক্ষে এই দুই প্রতিযোগিতার লিগ পর্বেও ৩২ এর বদলে ৩৬ দলে উন্নীত করা হতে পারে।
দলগুলোর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেওয়ার প্রক্রিয়া থাকবে আগের মতোই। ঘরোয়া
লিগে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে নিশ্চিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দল।
ম্যাচের সূচি, ড্রয়ের আগের র্যাঙ্কিং প্রক্রিয়া, চূড়ান্ত পর্বের ফরম্যাট, অর্থের
বন্টন-এমন নানা বিষয় নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত এই বছরের শেষে নেওয়া হবে বলে বিবৃতিতে
জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে আজকের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোও পর্যালোচনা করা হবে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এই বদল এমন এক সময়ে এলো, যখন ‘ইউরোপিয়ান সুপার লিগ’
নামের বিচ্ছিন্ন এক প্রতিযোগিতার আগমনী বার্তায় তোলপাড় ফুটবল বিশ্ব। রোববার
একযোগে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় টুর্নামেন্টটির সঙ্গে চুক্তি করা ইউরোপের ১২টি দল।
দলগুলো হলো-স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও আতলেতিকো মাদ্রিদ, ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার
ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল, আর্সেনাল, চেলসি ও টটেনহ্যাম হটস্পার এবং ইতালির
ইউভেন্তুস, এসি মিলান ও ইন্টার মিলান।
ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ ও রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে তিক্ত এক লড়াইয়ের সূচনা বলে মনে
করা হচ্ছে ‘বিদ্রোহী’ এই প্রতিযোগিতা শুরুর ঘোষণায়। ফুটবল দুনিয়ায় এমন কিছু হতে পারে
বলে জোরালো আভাস পাওয়া যাচ্ছিল কয়েক বছর ধরেই। শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছে উয়েফা
ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো। বিশ্ব ফুটবলের নিযন্তা সংস্থা ফিফাও ইউরোপিয়ান সুপার লিগের
বিপক্ষে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে।