বিবিসি জানায়, দীর্ঘপ্রতীক্ষিত ‘ট্রাভল বাবল’চালুর পর সোমবার অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রথম ফ্লাইট নিউ জিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিমানবন্দরে পৌঁছালে আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অশ্রুসজল চোখে স্বজনরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন।
এদিন দুই দেশের হাজারের বেশি নাগরিক ভ্রমণের জন্য ফ্লাইটের অগ্রিম টিকিট কেটেছেন। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে দু’দেশই অত্যন্ত সফলভাব কোভিড-১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় দু’দেশেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ বর্তমানে খুবই কম।
সোমবার অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিমানবন্দরে উচ্ছ্বসিত যাত্রীদের নিউ জিল্যান্ডগামী ফ্লাইটে উঠতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। সিডনি বিমানবন্দরে এক যাত্রী বিবিসি’কে বলেন, ‘‘আমি আজ কতটা আবেগের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি সেটা বলে বোঝাতে পারব না।”
নিরালি জোহাল নামে আরেক যাত্রী বলেন, প্রায় দুই বছর পর তিনি তারা বাবা-মাকে দেখতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি গতরাতে ঠিকমত ঘুমাতে পারিনি। আমি দারুণ উত্তেজিত।
“সত্যি বলতে আমরা দারুণ খুশি। এটা ঘটেছে এবং আমরা পুনরায় স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরতে পারছি।”
ক্যাফেতে যাবেন, আনন্দ করবেন এবং একজন মানুষ স্বাভাবিক জীবনে যা যা করেন তার সবই করবেন জানিয়ে এই নারী আরও বলেন, ‘‘জুম এর মাধ্যমে মানুষে মানুষে সম্পর্ক রক্ষা ভালো কিছু নয়, আমি এটা শেষ করতে চাই।”
চীন থেকে করোনাভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার শুরু করলে গত বছর মার্চে সীমান্ত বন্ধ করে দেয় অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ড। তারপর থেকে নাগরিকদের দেশে ফিরতে কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়।
যদিও গত বছর অক্টোবর থেকেই অস্ট্রেলিয়া নিউ জিল্যান্ডের ভ্রমণকারীদের কোয়ারেন্টিন ছাড়াই তাদের বেশিরভাগ রাজ্যে ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় নিউ জিল্যান্ড সেই অনুমতি দেয়নি।
দুই দেশের মধ্যে ‘ট্রাভল বাবল’ এর আওতায় ভ্রমণের আগে অন্তত ১৪ দিন ভ্রমণকারীকে অস্ট্রেলিয়া বা নিউ জিল্যান্ডে অবস্থান করতে হবে।