সোমবার
বিকালে বসুরহাট পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে কোম্পানীগঞ্জ
থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান।
এরা হলেন
চরপার্বতী ইউনিয়নের মো. আসলামের ছেলে ইসমাইল হোসেন পলাশ (২৫), বসুরহাট পৌর এলাকার
প্রয়াত মনোরঞ্জন মজুমদারের ছেলে প্রবণচন্দ্র মজুমদার (৩৩), প্রয়াত আবুল বাসারের
ছেলে ইমাম হোসেন ছোটন (২৪) ও মনির আহমেদের ছেলে নুর আলম ওরফে রাসেল (২৮)।
সোমবার
সকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ
চেয়ারম্যান নুরনবী চৌধুরীকে পিটিয়ে ও গুলি করে গুরুতর আহত করে একদল হামলাকারী।
তাকে
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পঙ্গু
হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ
থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, হামলার পর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন রাখা
হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনানুগ
ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা
আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খান বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর
ওয়ার্ডে নুরনবী চৌধুরীকে এক নেতার অনুসারীরা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয় এবং
বাম পায়ে গুলি করে।
এই ঘটনার
পর দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা ফেইসবুক লাইভে এসে এক নেতার বিরুদ্ধে
অভিযোগ তোলেন। তার নির্দেশে এই হামলা চালানো হয় বলে তাদের অভিযোগ।
ফেইসবুক
লাইভে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক
উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বাদল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসির
নির্দেশে তাণ্ডব চলছে: কাদের মির্জা
নুরনবী
চৌধুরীর উপর হামলার ঘটনার প্রায় ৮ ঘণ্টা পর নিজের ফেইসবুক পেইজে বসুরহাট পৌর মেয়র
আবদুল কাদের মির্জা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও কোম্পানীগঞ্জের ওসির বিরুদ্ধে তাণ্ডব
চালানোর অভিযোগ করেছেন।
ফেইসবুকে
কাদের মির্জা বলেন, “বসুরহাট পৌরসভা অবরুদ্ধ, এডিশনাল এসপি শামীম এবং ওসির
নির্দেশে তাণ্ডব চলছে বসুরহাট পৌরসভায়।”
এই
বিষয়ে নোয়াখালীর এসপি আলমগীর হোসেন বলেন, এসব রাজনৈতিক বক্তব্য। হরহামেশাই এ ধরনের
কথাবার্তা নেতারা বলেন।