যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরিতে স্টেটের ক্যানসাস সিটিতে বসবাসকারী ৬৬ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা মূসা দীর্ঘদিন ধরেই ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
স্থানীয় সময় শনিবার ভোর পৌনে ৭টায় তার মৃত্যু হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তিনি স্ত্রী, এক পুত্র এবং এক কন্যা রেখে গেছেন। তারা সবাই যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছেন। কয়েক বছর আগে সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার্থে অভিবাসন মর্যাদায় যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন আহমেদ মূসা।
নিউ ইয়র্কে কয়েক বছর কাটানোর পর আবহাওয়ার সুবিধার্থে ফ্লোরিডার টেম্পায় একটি বাড়ি কিনে সেখানেই বসবাস করছিলেন। সেখানেই তার ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। চিকিৎসা নিচ্ছিলেন নিয়মিত।
এজন্য লেখালেখিও করতে পারেননি। মাস তিনেক আগে ছেলে আহমেদ সায়ান অনিকের মিসৌরি স্টেটের ক্যানসাস সিটিতে নিয়ে ক্যান্সারের উন্নত চিকিৎসা শুরু করেন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
শনিবারই জোহরের নামাজের শেষে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ক্যানসাসের মুসলিম কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় বলে পারিবারিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রস্থ সোনারগাঁ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও মূলধারার রাজনীতিক এ কে এম নূরুল হক জানান।
বাংলাদেশের নারায়নগঞ্জের সন্তান মূসার মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সোনারগাঁ ফাউন্ডেশন এবং সোনারগাঁও সাহিত্য নিকেতন গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
এছাড়া আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের পক্ষে সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার এবং সেক্রেটারি শহীদুল ইসলাম তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
গতবছর বাংলাদেশে গিয়ে জন্মস্থান ইজারাকান্দি গ্রামে স্বপ্নের ‘আলোর সেতু পাঠাগার’ প্রতিষ্ঠা করেছেন আহমেদ মূসা। সেখানে নিজের লেখা বেশ কয়েকটি গ্রন্থ ছাড়াও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বাঙালির উত্থানের ইতিহাস, বাংলাদেশের উন্নয়ন-সমৃদ্ধির ওপর চার হাজারের বেশি বই অনুদান দিয়েছেন এ মুক্তিযোদ্ধা।
প্রবাস জীবনে নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক আজকাল’ পত্রিকায় তিনি তিন বছর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাপ্তাহিক আজকাল এর প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক জাকারিয়া মাসুদ জিকো আহমেদ মূসার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘“বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের স্মৃতিচারণ ও তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় ২০ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকালে জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে এক ‘স্মরণ সভা’র আয়োজন করা হয়েছে।”