লিডসের মাঠে সোমবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। সাদিও মানে শিরোপাধারীদের এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা টানেন দিয়েগো ইয়োরেন্তে।
দলটির বিপক্ষে প্রথম দেখায় গত সেপ্টেম্বরে ৪-৩ গোলে জিতে আসর শুরু করেছিল লিভারপুল।
রোববার রাতে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ চালুর ঘোষণার পর থেকে উত্তাল ফুটবল বিশ্ব, চলছে তুমুল সমালোচনা। এর প্রভাব দেখা যায় লিভারপুল-লিডস ম্যাচেও। বিতর্কিত এই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ইউরোপের শীর্ষ ১২ ক্লাবের একটি যে লিভারপুল।
টুর্নামেন্টটির বিরোধিতা করে ম্যাচ শুরুর আগে ‘ফুটবল সমর্থকদের জন্য’ লেখা টি-শার্ট পরে অনুশীলন করে লিডসের খেলোয়াড়রা। ক্লাবের সমালোচনা করে অ্যানফিল্ডের বাইরে বিভিন্ন ব্যানার টাঙায় লিভারপুল সমর্থকরা।
আক্রমণাত্মক ফুটবলে শুরু থেকে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে লিভারপুল। পঞ্চম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে থিয়াগো আলকান্তারার জোরালো শটে গোলরক্ষক এক হাতে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান। ১৯তম মিনিটে দিয়োগো জটার শট প্রতিহত হয় এক ডিফেন্ডারের পায়ে।
২৪তম মিনিটে ফাবিনিয়োর ভুল পাসে ভালো একটি সুযোগ পায় লিডস। এগিয়ে এসে প্যাটট্রিক ব্যামফোর্ডের শট রুখে এ যাত্রায় দলকে বাঁচান গোলরক্ষক আলিসন।
৩১তম মিনিটে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। জটা ডি-বক্সের সামনে বল বাড়ান ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের উদ্দেশে। গোলরক্ষককে এগিয়ে আসতে দেখে ইংলিশ এই ডিফেন্ডার প্রথম ছোঁয়ায় পাস দেন মানেকে। সহজেই ফাঁকা জালে বল পাঠান সেনেগালের ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে ফাবিনিয়োর শট ফিরিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি লিডসের গোলরক্ষক। ৭৪তম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে গোল পাননি ব্যামফোর্ড। তার শট ক্রসবারে লাগে।
৮৫তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ আসে মোহামেদ সালাহর সামনে। ডি-বক্সে ঢুকে বাইরে মেরে হতাশ করেন তিনি। এর দুই মিনিট পরই সতীর্থের কর্নারে হেডে সমতা ফেরান ইয়োরেন্তে। উল্লাসে মাতে স্বাগতিকরা।
টানা তিন জয়ের পর পয়েন্ট হারাল লিভারপুল। ৩২ ম্যাচে ১৫ জয় ও আট ড্রয়ে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে তারা। সমান ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে লিডস।
৩২ ম্যাচে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপার পথে অনেকটাই এগিয়ে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে লেস্টার সিটি। ৩২ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড চারে, ৩১ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে চেলসি পাঁচে আছে।