রিকশা থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে শহিদুল ইসলাম (৩২) নামে এই ব্যক্তি ক্ষেপে যান বলে পুলিশের ভাষ্য। শহিদুল কিছুদিন পরপর ভাইরাল হতে চান বলেও পুলিশের ভাষ্য। ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের বাসিন্দা তিনি।
জেলার পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী বলেন, “লোকটি মানসিক ভারসাম্যহীন। পুলিশ কর্তব্য পালনকালে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি পুলিশের ওপর ক্ষেপে যান এবং মারতে আসেন। তখন পুলিশ আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছে। তার গায়ে হাত তোলা পুলিশের উদ্দেশ্য নয়।”
ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য সদর থানার তিন পুলিশ সদস্যকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। তাদের বক্তব্য শোনার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশ সুপার নূরুন্নবী।
ফেইসবুকে আসা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, শহিদুলের জামার কলার ধরে পাকড়াও করছেন পুলিশ সদস্যরা। তাকে রিকশা থেকে নামতে বলছেন তারা। শহিদুলও পুলিশের ওপর হাত তুলছেন। পুলিশকে গালাগালও করেন শহিদুল। পুলিশ সদস্যরা তাকে টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে চড়-থাপড় মারেন এবং লাথি মারেন। এ সময় শহিদুল স্থানীয় লোকজনকে ভিডিও করতে বলেন। পরে তাকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওমর হায়দার বলেন, “শহিদুলের মানসিক সমস্যা রয়েছে। শহিদুল কিছুদিন পরপর ভাইরাল হতে চান। তাকে হাজতখানায় রাখার পর চিৎকার করে সবাইকে অস্থির করে তোলেন। একপর্যায়ে তার স্বজনদের ডেকে আনলে তারা তার মানসিক সমস্যার কথা জানান। পরে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।”