মঙ্গলবার সকালে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মলনে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত মহা-পুলিশ পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “সিআইডি পূর্ণাঙ্গ শক্তি নিয়ে তদন্তে নেমেছে। এসব ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে যেসব ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে তা ফরেনসিক বিভাগ পরীক্ষা করছে। এসব ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে আসামি গ্রেপ্তারসহ প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলাগুলোর নিষ্পত্তির আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তবে ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে নাশকতার ঘটনার কোনো মামলা তদন্ত সিআইডি তদন্ত করবে না জানিয়ে মাহবুবুর রহমান বলেন, “২০১৬ সালের পাঁচটি এবং সম্প্রতি নাশকতার ঘটনায় ১৮টি মামলা তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে সিআইডি।”
সিআইডি জানিয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২০১৬ সালের পাঁচটি নাশকতার মামলাসহ এই জেলার বিভিন্ন থানায় দায়ের করা মোট ১৫টি মামলা তদন্ত করা হবে।
এছাড়া সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম এবং মুন্সীগঞ্জের দুইটি করে মামলা রয়েছে।
এসব ঘটনায় ইন্ধনদাতা, সহযোগিতাকারী এবং সরাসরি নাশকতায় যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের বিষয়ে খোঁজ রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে এক প্রশ্নে সিআইডি প্রধান বলেন, “এসব ঘটনায় জড়িতরা যেই হোক তাকে আইনের আওতার নেওয়া হবে।”
আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, হেফাজত নেতা মামুনুল হককে তারা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলায় শিগগিরই গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করবেন।