একইসঙ্গে নতুন তথ্যমন্ত্রী উ চি নাইংসহ সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন দুইটি বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ওপরও ইইউ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সোমবার এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় মিয়ানমার জান্তার ‘স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল’ এর নয় সদস্যর ভ্রমণ নিষিদ্ধ এবং সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়া, সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত দুই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ‘মিয়ানমার ইকোনোমিক হোল্ডিংস লিমিটেড’ (এমইএইচএল) এবং ‘মিয়ানমার ইকোনোমিক কর্পোরেশন লিমিটেড’ (এমইসি) এর সঙ্গে ইইউ বিনিয়োগকারী এবং ব্যাংকগুলোর কোনওরকম লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ইইউ বলেছে, “এমইএইচএল ও এর কোম্পানিগুলো সামরিক বাহিনীর জন্য রাজস্ব আয় করে মিয়ানমারে তাদের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ক্ষুন্নকারী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ায় ভূমিকা রাখছে।” এমইসি’র বিরুদ্ধেও ইইউ একই অভিযোগ করেছে।
ইইউ’র এই নিষেধাজ্ঞার পর মিয়ানমার সঙ্কট নিয়ে সম্মেলন করতে চলেছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ান। শনিবার জাকার্তায় এই সম্মেলন বসবে বলে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে আসিয়ানের পক্ষ থেকে।
মিয়ানমারে নেত্রী অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জেনারেলরা ক্ষমতা দখলের পর চলমান রক্তক্ষয় আর বিশৃঙ্খলা থেকে দেশটিকে বের করে আনার পথ খুঁজছে আসিয়ান।
তবে এবারের সম্মেলনে কয়জন নেতা অংশ নিচ্ছেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা কয়েকজনের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন।
ওচা জানান, তিনি সম্মেলনে অংশ নেবেন না। তার জায়গায় অংশ নেবেন থাই উপপ্রধানন্ত্রী, তিনি একইসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীও। আরও কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রেও পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ওচা।