শনিবার রাতে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ বিএনপি চেয়ারপারসনকে দেখে আসার পর তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য জানান।
খালেদা জিয়ার কোনো উপসর্গ নেই এবং ভালো আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আজকে দুপুরে ম্যাডামের করোনাভাইরাস টেস্ট করা হয়েছিল। তার ফলাফল রাতে পেয়েছি, রেজাল্ট পজিটিভ।”
আগামী ৪/৫ দিন পর আবার তৃতীয় দফায় পরীক্ষা করা হবে বলে জানান তিনি।
অধ্যাপক জাহিদ আরও জানান, উপসর্গ না থাকলেও খালেদা জিয়াকে ‘নিবিড় পর্যবেক্ষনে’রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসায় আক্রান্ত আরো আটজনের টেস্ট করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে তিনজন ছাড়া বাকিদের ফলাফল ‘নেগেটিভ’ এসেছে। তারা সবাই ভালো আছেন।“
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যায়। ওই দিন তার পরীক্ষার ফলাফল ‘পজেটিভ’আসে।
এরপর থেকে গুলশানের বাসায় নিবিড় পর্যবেক্ষণে তার চিকিৎসা শুরু হয়। গত ১৫ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে তার সিটি স্ক্যানও (চেস্ট) করা হয়। এর ফলাফল ভালোই ছিল বলে চিকিৎসকরা তখন জানিয়েছিলেন।
শনিবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের দ্বিতীয়বার করোনাভাইরাস পরীক্ষার নমুনা নেয়া হয়, রাতে এর ফলাফল আসে।
এরপর রাত ১০টার দিকে অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে অধ্যাপক আব্দুস শাকুর খান, অধ্যাপক জাহিদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসায় আসেন। রাত ১২টা ৫০ মিনিটে তারা বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক’ বিবেচনায় শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তখন থেকে তিনি গুলশানে নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার সঙ্গে বাইরের কারও যোগাযোগ সীমিত।