ক্যাটাগরি

খুলনায় কলেজছাত্র রোহান খুন ‘হাসনাত বাহিনীর’ হাতে

এই ঘটনায় গ্রেপ্তার এক তরুণের বরাত দিয়ে খুলনা নগরীর ফুলতলা থানার ওসি ইলিয়াস তালুকদার এ কথা জানান।

বৃহস্পতিবার নগরীর ফুলতলা এলাকায় এমএম কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র সৈয়দ আলিফ হোসেন রোহনকে (২০) ছুরিকাঘাতে হত্যা করে একদল তরুণ। রোহান ফুলতলা উপজেলার কসবা গ্রামের সৈয়দ আবু তাহেরের ছেলে।

এ ঘটনায় দীপ্ত সাহা (২১) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দীপ্ত ফুলতলা বাজারের গুড় ও চিনি ব্যবসায়ী দীপক সাহার ছেলে।

দীপ্ত শনিবার আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলে ওসি ইলিয়াস জানান।

ওসি বলেন, শেখ আবুল হাসনাত নামের এক তরুণের নেতৃত্বে ফুলতলায় ২০ থেকে ২৫ জন উঠতি বয়সী কিশোর ও তরুণদের একটি দল আছে। তারা এলাকায় মাদক, জুয়া, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে।

“বৃহস্পতিবার তাদের হাতেই খুন হন কলেজছাত্র সৈয়দ আলিফ হোসেন রোহান (২০)।”

ওই বাহিনী একটি ‘প্রভাবশালী রাজনৈতিক’ মহলের প্রশ্রয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফুলতলা বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছে বলেও জানান ওসি ইলিয়াস তালুকদার।

তিনি বলেন, রোহান হত্যাকাণ্ডের পর দীপ্ত সাহাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার দীপ্ত আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে ওই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের নাম রয়েছে।”

দীপ্ত সাহার বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস এম শাহাদাত হোসেন বলেন, “মূলত মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় খুন করা হয়েছে আলিফকে।”

ঘটনার বিবরণে শাহাদাত বলেন, ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে ‘হাসনাত বাহিনীর’ সদস্যরা ফুলতলা এম এম কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এসে রোহানকে ছুরিকাঘাত করে তাজপুর গ্রামের দিকে চলে যান।

উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান আলিফ হোসেন রোহান।

ঘটনার পরদিন তার বাবা সৈয়দ আবু তাহের বাদী হয়ে শেখ আবুল হাসনাতসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।