ক্যাটাগরি

রূপগঞ্জে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে মামলা, আসামি মালিকসহ ৫

ওই অগ্নিকাণ্ডে
নিহত শ্রমিক আকালুর ভাই আজিজার রহমান বাদী হয়ে রোববার রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন বলে
রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ জানান। তবে এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

‘লিলি
কেমিক্যাল কোম্পানির’ মালিক একেএম সেলিমসহ কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এ অগ্নিকাণ্ডের
ঘটনা ঘটেছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।  

মামলার
আসামিরা হলেন লিলি ক্যামিকেল কোম্পানির মালিক একেএম সেলিম, ম্যানেজার আব্দুল বাতেন,
ইলেকট্রিশিয়ান রফিকুল ইসলাম, কেমিস্ট সাবরুল ইসলাম ও সুপারভাইজার কাউসার হাবিব।

ছবি: প্রতীকী

ছবি: প্রতীকী

গত বুধবার
[২৯ মার্চ] রাতে রূপগঞ্জ উপজেলায় লিলি কেমিক্যাল কোম্পানির কারখানায় আগুনে নয় জন দগ্ধ
হন। তাদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে
ভর্তি করা হয়।

সেখানে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে আকালু ও শনিবার ভোরে মোহাম্মদ মুজাহিদ নামে দুই
শ্রমিক মারা যান। শনিবার রাতে সজিব ও বায়েজীদ নামে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়।

মামলার
বাদী আজিজার রহমান এজাহারে বলেছেন, তার ভাই আকালু লিলি কেমিক্যাল কারখানায় শ্রমিক হিসেবে
কাজ করতেন। তাদের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ফুল চৌকি খামারপাড়া গ্রামে।

২৯ মার্চ
রাত সোয়া ১০টার দিকে কারখানার পেস্টিং সলিউশন (জুতা তৈরির আঠা) মেশিনের সুইচে এক শ্রমিক
চাপ দেওয়ার সাথে সাথে বিকট শব্দ হয়ে মেশিনে আগুন ধরে যায় এবং দাহ্য পদার্থ ছড়িয়ে পড়ায়
পুরো কারখানায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

দুর্ঘটনার
সময় তার ভাই আকালু, সজিব, বায়েজীদ, রাসেল, মুজাহিদ, খাদেমুল, রোকন, মেহেদী ও রিপন কাজ
করছিলেন এবং তারা দগ্ধ হন। অগ্নিদগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি
ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ভাই আকালুসহ চারজন মারা যান।
অন্যদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

মামলা
দায়েরের পর থেকে আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান ওসি সায়েদ।