লাতে, এক্সপ্রেসো, কাপুচিনো কিংবা শীতল
পানীয় হিসেবে ক্রিম-দুধের মিশ্রণে কফি- যেভাবেই পান করা হোক না কেনো কালো কফি বা কোনো
কিছু না মিশিয়ে শুধু কফি পান করলেই পাওয়া যাবে আসল উপকার।
আর সেটা হল দেহের প্রদাহ কমাতে পারে কালো
কফি।
যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টি-বিশেষজ্ঞ লরেন
মানাকার বলেন, “আপনি যদি কফি প্রেমী হন, তাহলে বলবো এর থেকে সর্বোচ্চ উপকার পেতে চাইলে
পান করতে হবে ‘ব্ল্যাক’ কফি।”
‘দ্যা ফার্স্ট টাইমস মম’স প্রেগনেন্সি
কুকবুক এবং ফুয়েলিং মেইল ফার্টিলিটি’ বইয়ের এই লেখক ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত
প্রতিবেদনে আরও বলেন, “একজন কফি প্রেমীর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল কালো কফি পান
করা। এতে প্রাকৃতিকভাবেই প্রদাহনাশক যৌগ রয়েছে যা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমাতে সহায়তা
করে। তবে এর সঙ্গে বাড়তি চিনি, স্বাদযুক্ত ক্রিমের চর্বি ও অন্যান্য উপাদান যোগ করা
হলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।”
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত একটি
পর্যালোচনায় দেখা যায়, কফিতে থাকা ক্যাফেইন প্রদাহনাশক প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও
এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ ক্যান্সার বিরোধি হিসেবে কাজ করে।
যদিও অনেকেই মনে করেন যে কফির প্রদাহনাশ
কার্যকারিতা আসে ক্যাফেইন থেকে। তবে এই কার্যকর গুণাগুণ ক্যাফেইনবিহীন কফিতেও পাওয়া
গেছে। আর তা একইভাবে স্বাস্থের জন্য উপকারী।
প্রদাহ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এটা নানা
রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি যেমন- টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
যদিও কফি পান প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।
তবে এর সঙ্গে বাড়তি চিনি খাওয়া প্রদাহ বাড়ায় বলে জানান, মানাকার।
‘দ্যা আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল
নিউট্রিশনে’ প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত চিনি-মিষ্টিযুক্ত পানীয় গ্রহণ করা প্রদাহ
এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। যদিও গবেষণা করা হয়েছিল সোডার ওপরে। এতে থাকা বাড়তি চিনি
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আরও মারাত্মক হয়।
তাই কফি থেকে প্রদাহনাশক উপকার পেতে চাইলে
পান করতে হবে ‘ব্ল্যাক কফি’।
আরও পড়ুন
কফি পানে মাথাব্যথা নাও সারতে পারে