মঙ্গলবার নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সরকার ব্যর্থতা ঢাকতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বানোয়াট মামলায় কারাগারে আটক রাখতে বেপরোয়া হয়ে গেছে-বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সরকারের ওপর দায় চাপিয়ে নিজেদের অযোগ্যতা, অক্ষমতা ও ব্যর্থতা আড়াল করার অপচেষ্টা করছে বিএনপি নেতারা। এটা সরকারের বিরুদ্ধে চিরাচরিত মিথ্যাচার।
“সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ইস্যু খুঁজে পাচ্ছে না বলেই কিছু একটা বলতে হবে বলেই এসব নেতিবাচক মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে বিএনপি।”
বিএনপি নেতাদের ওপর কর্মীদের চাপ বাড়ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার জন্যই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে তাদের কর্মীদের ক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে, তাই দলীয় কর্মীদের রোষানল থেকে বাঁচতে বিএনপি নেতারা আবোল-তাবোল বকছে।”
অপকর্মের জন্যই বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপি নেতাকর্মীরা একদিকে সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে, জনগণের সম্পদ এবং শান্তি নষ্ট করবে, বাসে আগুন দিবে, নিজেরা নিজেরা মারামারি করবে; আর সরকার জনস্বার্থে ব্যবস্থা নিলে বলবে- মিথ্যা বানোয়াট মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দেশে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে, আইন-আদালতের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।
“শেখ হাসিনার কাছে অপরাধীর রাজনৈতিক কোনো পরিচয় নেই। দেশের মানুষ দেখেছে- নিজ দলের সমর্থকরা, নেতারা অপরাধী হলে সরকার আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণে বাধা দেয়নি, আইনের গতিকে কোনো বাধাগ্রস্ত করেনি। শুদ্ধি অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে নিজ দলের অনেক নেতা।”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুনির্দিষ্ট অভিযোগে কোনো অপরাধীকে গ্রেপ্তার করলেই বিএনপি ঢালাও অভিযোগ তোলার পাশাপাশি মিথ্যাচারে লিপ্ত হয় দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “তাহলে কি নিজ দলে চিহ্নিত অপরাধীদের পুষতে চান বিএনপি? অপরাধী আর দুর্নীতিবাজ তোষণ এবং লালন নীতি বিএনপির রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ।
“অপরাধী কিংবা অপকর্মকারীরা কখনো কোনো দলের স্বার্থের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে না। অপরাধীদের দল যদি অন্যের ক্ষতি করার জন্য পুষতে থাকে, তাহলে শেষ পর্যন্ত অপরাধীদের দ্বারা তাদের দলেরই ক্ষতি হয়। আমাদের সকলেরই মনে রাখা উচিত ‘দুধ কলা দিয়ে সাপ’ পোষণ চলে, কিন্তু তার ছোবল থেকে রেহাই পাওয়া যায় না।”