ক্যাটাগরি

চেলসির মাঠে ফেরার আগে কোর্তোয়ার মনে ভয়

ইউরোপ সেরার মঞ্চে শেষ আটে দুই দলের লড়াইয়ে প্রথম লেগটি হবে আগামী
বুধবার, স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে।

প্রতিযোগিতাটির গত আসরেও দেখা হয়েছিল এই দুই দলের। সেবার
সেমি-ফাইনালে রিয়ালকে ৩-১ গোলে হারানো চেলসি পরে জিতে নেয় শিরোপাও।

প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটির জার্সিতে ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সময়ে সব
প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৫৪ ম্যাচ খেলেছিলেন কোর্তোয়া। জিতেছিলেন দুটি প্রিমিয়ার লিগসহ
মোট চারটি শিরোপা। এরপর রিয়ালে যোগ দেন তিনি।

চেলসির মাঠে এবারের প্রথম লেগটি তাই কোর্তোয়ার জন্য বিশেষ কিছু। এই
ক্লাবটির হয়ে খেলেই যে বিশ্ব সেরাদের কাতারে উঠে আসেন তিনি। তাছাড়া, স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে গত বছর ফেরার সময় তো ওই ম্যাচে গ্যালারি ছিল শূন্য।

তাই দর্শকের উপস্থিতিতে ফেরাটা নিয়ে রোমাঞ্চিত কোর্তোয়া। একই সঙ্গে
কিছুটা চিন্তিত চেলসি সমর্থকদের প্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে।

যখন চেলসিতে ছিলেন কোর্তোয়া

যখন চেলসিতে ছিলেন কোর্তোয়া

“আশা করি, স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে আমার ফেরার
অভিজ্ঞতাটা দারুণ হবে। তবে আমরা এখন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। তারা জিততে চাইবে
এবং আমার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তাই আমি ভক্তদের কাছ থেকে কোনো বিশেষ
অভ্যর্থনা আশা করছি না। আশা করি, অন্তত তারা আমাকে দুয়ো দেবে
না। কে জানে, কী হবে।”

“যাই হোক না কেন আমি সেজন্য প্রস্তুত। দেখা যাক, কী হয়। মাঠে দর্শকদের উপস্থিতিতে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে, কারণ গত বছর আমরা যখন খেলেছিলাম তখন দর্শক ছিল না।”

চেলসির হয়ে কখনও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ না জেতা কোর্তোয়া রিয়ালের হয়েও এই
শিরোপার স্বাদ পাননি এখনও।

২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ধারে আতলেতিকো মাদ্রিদে খেলেছিলেন কোর্তোয়া।
দলটির হয়ে তার শেষ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল ও
আতলেতিকো। ৪-১ গোলে ম্যাচটি জিতে ট্রফি উঁচিয়ে ধরে ইউরোপের সফলতম দলটি।

চেলসির বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে সোমবার রিয়ালের ওয়েবসাইটে
কোর্তোয়া বলেন, অবসরের আগে যেকোনো মূল্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
জিততে চান তিনি।

“আমি অনেক শিরোপ জিতেছি। কিন্তু ক্লাব ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগই
সবচেয়ে বড় এবং আমি এখনও এটি জিততে পারিনি।”

“অবসর নেওয়ার আগে এটা জিততে পারলে অবশ্যই খুব বিশেষ কিছু হবে। আমার
হাতে এখনও যথেষ্ট সময় আছে। আমি আমার স্বপ্নপূরণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাব এবং
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ তাদের মধ্যে একটি। আমার অভিযান অব্যাহত থাকবে।”