বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের কাছ থেকে ইশরাককে আটক করে মতিঝিল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে তাকে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ২০২০ সালে মতিঝিল থানার এক মামলায় আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার মহানগর হাকিম তামান্না ফারাহ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে ইশরাকের পক্ষে জামিন আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবীরা। শুনানি শেষে বিচারক তা নাচক করে দেন।
ইশরাকের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, নুরুজ্জামান তপনসহ বেশ কয়েকজন। অন্যদিকে রাষ্ট্র ক্ষে আইনজীবী আজাদ রহমান জামিনের বিরোধিতা করেন।
বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইশরাক ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে। বুধবার শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে মতিঝিলে লিফলেট বিতরণ করার সময় তাকে আটক করে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের এডিসি এনামুল হক মিঠু সে সময় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইশরাকের বিরুদ্ধে গাড়ি পোড়ানোর একটি মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। ওই মামলায় পরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
২০২০ সালের ১২ নভেম্বর গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে এই মামলা করে পুলিশ। পরে হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন ইশরাক। সেই জামিনের মেয়াদ শেষে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনও পেয়েছিলেন।
কিন্তু এরপর জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে না নেওয়ায় ২০২১ সালের ১৮ অগাস্ট ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। সেই পরোয়ানায় তাকে গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতে তোলা হয়।
শুনানিতে ইশরাকের
আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার
বলেন, “তার ঢাকার মহানগর বিশেষ জজ এক এম ইরুল
কায়েশের আদালতে আত্নসমর্পণ করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি তা করতে পারেননি, কারণ তখন
কোভিডের সময় ছিল। তার পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়েছিল।”
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে
আজাদ রহমান বলেন, “তার বিরুদ্ধে গাড়ি ভাংচুর ও বোমা বিস্ফারণ ঘটনানোর এ মামলায় সময়ের
আবেদন নাকচ করে গ্রেপ্তারি পারোয়ানা দেওয়া হয়েছিল। এ মামলার তদন্ত এখানো
শেষ হয়নি। এ মামলায় তাকে দরকার হলে রিমান্ড চাওয়া হতে পারে।
“মামলার ধারা জামিন
অযোগ্য। হাই কোর্ট তাকে জামিন দিলেও পরে জামিনের মেয়াদ পার হয়ে গিয়েছিল।
সুতরাং তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হোক “