‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ দলের বিপক্ষে
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ আটের প্রথম লেগে মঙ্গলবার ১-০ গোলে হারে আতলেতিকো। রক্ষণাত্মক
কৌশলে তারা সিটিকে অনেকটা সময় আটকে রাখলেও ৭০তম মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনে ব্যবধান গড়ে
দেন।
সিমেওনের আতলেতিকো বরাবরই রক্ষণাত্মক
কৌশলে বিশ্বাসী। কিন্তু সিটির মতো এতটা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা দলের বিপক্ষে ৯০ মিনিট
কেবলই রক্ষণাত্মক মানসিকতায় খেলে যাওয়া কতটা যৌক্তিক ও কার্যকর সিদ্ধান্ত হতে পারে,
ম্যাচটি শেষের পর থেকেই উঠছে সেই প্রশ্ন।
সিমেওনে অবশ্য এখানে কোনো ভুল
দেখছেন না। ম্যাচের পর এই আর্জেন্টাইন আরও বললেন, যে কৌশলে তার দল খেলেছে, সিটির মতো
দলের বিপক্ষে সেটাই সেরা।
‘‘এটা কঠিন ম্যাচ ছিল, খুবই
কঠিন। একটা অসাধারণ দলের বিপক্ষে খেললাম, তারা সম্ভবত বিশ্বের সেরা দল।’’
‘‘আমরা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চেয়েছিলাম
এবং প্রতি-আক্রমণে ফল পেতে চেয়েছিলাম। প্রথমার্ধে আমরা (পাল্টা আক্রমণে) উঠতে পারেনি,
যদিও গোলে তাদেরও কোনো শট ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা যখন বেশি বিপজ্জনক ছিলাম, তখনই
তারা একটি গোল আদায় করে নিল।’’
ম্যাচের আগে সিমেওনে দলকে ৫-৩-২
ফরমেশনে সাজালেও সিটির টানা আক্রমণের মুখে প্রথমার্ধে তাদের ছক কার্যত হয়ে যায় ৫-৫-০
ফরমেশনে। দুই ফরোয়ার্ড অঁতোয়ান গ্রিজমান ও জোয়াও ফেলিক্সকে অনেকটা সময় নিজেদের ডি-বক্সের
আশেপাশেই দেখা যায়।
তবে এতে কোনোরকম ভুলের কিছু
দেখছেন না সিমেওনে।
‘‘খুব ভালো আক্রমণ করে এমন
একটি দলের বিপক্ষে এই কৌশলেরই প্রয়োজন ছিল। তাদের মতো দলের বিপক্ষে (সমানে-সমান আক্রমণ
করা) কঠিন।“
সিটির স্কোয়াড অনেক শক্তিশালী
বোঝাতে দ্বিতীয়ার্ধে তাদের তিন খেলোয়াড় পরিবর্তনের বিষয়টি তুলে ধরেন। ৬৮তম মিনিটে রিয়াদ
মাহরেজকে তুলে ফিল ফোডেন, রাহিম স্টার্লিংয়ের জায়গায় গাব্রিয়েল জেসুস ও ইলকাই গিনদোয়ানের
বদলি হিসেবে জ্যাক গ্রিলিশকে নামান সিটি কোচ।
ওই তিন পরিবর্তনের প্রসঙ্গে
সিমেওনে বলেন, “তাদের তিন জন ভালো খেলোয়াড় বেরিয়ে যায় এবং সেই জায়গায় আরো ভালো তিন
জন খেলোয়াড় আসে।’’
মাঠে নামার কিছুক্ষণ পরই দলকে
এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ২১ বছর বয়সী ফোডেন। প্রতিপক্ষের তিন জনের মধ্যে
থেকে এই ইংলিশ মিডফিল্ডার দারুণ পাস বাড়ান ডি-বক্সে। আর বল ধরে কোনাকুনি শটে গোলটি
করেন বেলজিয়ান তারকা ডে ব্রুইনে।
ফোডেনকে শুরুর একাদশে না দেখে
অবাক হয়েছিলেন সিমেওনে।
‘‘আমরা শুরুর একাদশে তাকে আশা
করেছিলাম, কারণ সে দুর্দান্ত খেলোয়াড়। সে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামে এবং সে আক্রমণ গড়তে
পটু।’’
‘‘ম্যানচেস্টার সিটির খেলা
দেখতে ভালো লাগে… তারা তাদের মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছিল, আমরাও আমাদের মুহূর্তের
জন্য অপেক্ষা করছিলাম।’’
প্রথম লেগে এই হারের পর ফিরতি
লেগ নিজেদের মাঠে খেলবে আতলেতিকো। আর্জেন্টাইন কোচ তাই সেমি-ফাইনালের আশা ছেড়ে দিচ্ছেন
না।
‘‘(দুই লেগ মিলে) লড়াইটা দীর্ঘ;
একটা এখানে হলো এবং আরেকটা আমাদের মাঠে। এতে অবশ্য তাদের কিছু যায় আসে না, কারণ তারা
সবসময় একইভাবে খেলে। আমরা কতদূর যাব? যতদূর আমরা যেতে পারি।’’