হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নয়দিন
ধরে নবরাত্রি
পালন করে
এবং এসময়
তারা আমিষ
খাবার খায়
না।
বছরে তারা
চারবার নবরাত্রি
পালন করে। বিবিসি জানায়, দিল্লির দক্ষিণ
ও পূর্বাঞ্চলীয়
জেলাগুলোর মেয়ররা এই উৎসবের
সময় মাংসের
দোকান বন্ধ
রাখার সিদ্ধান্ত
নেন।
তাদের যুক্তি, নবরাত্রির
সময় দিল্লির
বেশিরভাগ (৯৯ শতাংশ) মানুষ আমিষ
খাবার খান
না।
তাদের অনেকে
অভিযোগ করেছেন,
এই সময়ে
খোলা জায়গায়
মাংস কাটা
দেখাও তাদের
অপছন্দ।
মেয়রদের এই সিদ্ধান্তের
বিরুদ্ধে অনেকে
ক্ষোভ প্রকাশ
করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমগুলোতে নগর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের নিন্দা
করে অনেকেই
বলছেন, এটা
ভারতের বহুত্ববাদের
লঙ্ঘন।
নবরাত্রিতে মহিষাসুরের ওপর
দেবী দুর্গার
বিজয় উদযাপন
করা হয়। উৎসবের
নয় দিন
হিন্দুরা সাধারণত
উপোস করেন,
অথবা আমিষ
খাওয়া থেকে
বিরত থাকেন। এমনকী তাদের খাবারে এ
সময় রসুন
ও পেঁয়াজের
মত নির্দিষ্ট
কিছু মশলাও
ব্যবহার করা
হয় না।
দিল্লিতে বর্তমানে ক্ষমতায়
আছে অরবিন্দ
কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি। তবে কেজরিওয়াল প্রশাসন থেকে
মাংসের দোকান
বন্ধ রাখার
নির্দেশ আসেনি।
বরং ভারতের প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদীর
হিন্দু জাতীয়তাবাদী
দল ভারতীয়
জনতা পার্টি
(বিজেপি) সমর্থিত
মেয়ররা এ
নির্দেশ দিয়েছেন,
তারা আগামী
১১ এপ্রিল
পর্যন্ত মাংসের
দোকান বন্ধ
রাখতে বলেছেন
বলে জানিয়েছে
বিবিসি।
মেয়রদের এই সিদ্ধান্তের
বিরুদ্ধে সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে
তীব্র সমালোচনা
হচ্ছে।
অনেকেই বলছেন,
কেউ মাংস
খাওয়া থেকে
বিরত থাকতে
গিয়ে অন্যের
মাংস খাওয়া
বা তা
ঘিরে জীবিকা
অর্জনের স্বাধীনতায়
হস্তক্ষেপ করা উচিত না।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল
তৃণমূল কংগ্রেসের
নেত্রী ও
এমপি মহুয়া
মৈত্র এর
সমালোচনা করে
টুইটারে লেখেন,
‘‘সংবিধান আমাকে যখন খুশি মাংস
খাওয়ার অনুমতি
দিয়েছে।”
I live in South Delhi.
The Constitution allows me to eat meat when I like and the shopkeeper the freedom to run his trade.Full stop.
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) April 6, 2022
জম্মু ও কাশ্মিরের
সাবেক মুখ্যমন্ত্রী
ওমর আব্দুল্লাহ
মাংসের দোকান
বন্ধের নির্দেশের
সমালোচনা করে
পাল্টা প্রশ্ন
করেছেন।
তিনি বলেন,
‘‘যদি মুসলমান
সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় রমজান মাসে প্রত্যেক
অমুসলিম বাসিন্দা
বা পর্যটককে
জনসম্মুখে খাবার খেতে বারণ করা
হতো তবে
সেটা কী
ঠিক হতো।”
During Ramzan we don’t eat between sunrise & sunset. I suppose it’s OK if we ban every non-Muslim resident or tourist from eating in public, especially in the Muslim dominated areas. If majoritarianism is right for South Delhi, it has to be right for J&K. https://t.co/G5VQylmMvB
— Omar Abdullah (@OmarAbdullah) April 5, 2022
কেউ কেউ টুইটারে
বলেছেন, “কেন
এই সময়ে
পেঁয়াজ এবং
রসুন কেনাবেচা
নিষিদ্ধ করা
হয়নি।
কেন শুধু
মাংস বন্ধ?”
আরেক টুইটার
ব্যবহারকারী লেখেন, ‘‘হোটেলের মেন্যুতে মাংসের
পদ থাকছে। অনলাইন দোকান থেকেও মাংস
সরবরাহ করা
হচ্ছে।
কিন্তু গরিব
মুলসমান মাংসের
দোকানিরা মাংস
বিক্রি করলেই
হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত লাগছে।”
However Meat will continue to be served in hotels.
Online vendors and food delivery channels will continue to deliver meat items.
Alcohol shops will not be shut either.But the hindu sentiment will be hurt by the meat shops run by the poor Muslim vendors during Navratri. https://t.co/oD0Qm5sK0i
— Tanvir (@Tanvir_Ansari) April 4, 2022