ক্যাটাগরি

তাসকিনের জন্য কোনো প্রশংসাই যথেষ্ট নয়: ডোনাল্ড

২২০ রানে হেরে যাওয়া ডারবান টেস্টের শেষ দিকে কাঁধে সমস‍্যা বাড়ে তাসকিনের। দলের প্রয়োজনে তবুও বোলিং চালিয়ে যান তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে আক্রমণে এসে করেন ১১ ওভার, ২৪ রানে নেন ২ উইকেট। 

দলকে সহায়তা করার জন‍্য এই তরুণের মরিয়া চেষ্টা দাগ কেটেছে ডোনাল্ডের মনে।

“যেভাবে তাসকিন নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে, তাতে তার জন‍্য কোনো প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। ওয়ানডে সিরিজে তার পারফরম‍্যান্সে আমি খুব খুশি ছিলাম, কী দুর্দান্তভাবে সে বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছিল।”

“প্রথম টেস্টে তার কাঁধে মৃদু চোট ছিল, সময় গড়ানোর সঙ্গে তা খারাপ হতে থাকে। দ্বিতীয় ইনিংসে সে স্ট্র‍্যাপ পেচিয়ে বোলিং করে। বাংলাদেশের জন‍্য প্রয়োজনে আরও বেশি কিছু করতে সে প্রস্তুত ছিল। তার জন‍্য আমাদের শুভ কামনা।”

টেস্টের মাঝপথেই অবশ‍্য বাংলাদেশ দল জানায়, ম‍্যাচ শেষে শরিফুল ইসলামের সঙ্গে দেশে ফিরে যাবেন তাসকিন। দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদের পাওয়ার ব‍্যাপারে আশাবাদী ডোনাল্ড। এই সিরিজ দিয়েই দলের সঙ্গে কাজ শুরু করা পেস বোলিং কোচ বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় জানালেন, তাসকিনের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা।

“এই তরুণের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাটা দারুণ। সে খুব মনোযোগী শ্রোতা এবং শিখতে চায়। ওর ভেতরে একটি যথাযথ চালিকা শক্তি আছে। সে সব ব‍্যথা সয়ে এগিয়ে যায়।”

“(ডারবান টেস্টে) তিন পেসারই ছিল অসাধারণ, বিশেষ করে তাসকিন, তাকে প্রবল ব‍্যথা সইতে হয়েছিল। এটা দেখিয়েছে, সে কতটা দৃঢ় এবং দলের প্রতি সে কতটা আন্তরিক। ব‍্যথাটা ছিল চূড়ান্ত পর্যায়ে।”

শরিফুলের চোটে দলে আসেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। প্রথম ইনিংসে এই পেসার নেন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট না পেলেও চমৎকার বোলিং করেন তিনি। ম‍্যাচে ইবাদত হোসেন নেন ৫ ম‍্যাচ। চোটের ভোগান্তি সয়ে খারাপ করেননি তাসকিনও। সব মিলিয়ে পেসারদের পারফরম‍্যান্স খুশি ডোনাল্ড।

“প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের পেসাররা যেমন খেলেছে, তাতে আমার মনে চোখে তারা নিজেদের নিয়ে গর্বিত হতে পারে। আমরা শুরুটা ভালো করিনি…তবে একবার থিতু হয়ে যাওয়ার পর ভালো করেছি।”

“আমরা জুটি বেঁধে বোলিংয়ের কথা বলি। বল পুরনো হয়ে গেলে কীভাবে বোলিং করতে হবে, তা নিয়ে কথা বলি। খালেদ যেভাবে বোলিং করেছে, যেভাবে ইবাদত বোলিং করেছে, পেসারদের কাছ থেকে এটা ছিল অসাধারণ পারফরম‍্যান্স। দ্বিতীয় ইনিংসে ওরা আরও ভালো করেছে। আমার মনে হয়েছে, আমরা টেস্ট ইউনিট হিসেবে বোলিং করেছি।” 

পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টেও খালেদ-ইবাদতদের কাছ থেকে একই ধরনের পারফরম‍্যান্স দেখতে চান ডোনাল্ড।

“ওদের ভালো বোলিংয়ে রান রেট ৩.৭ থেকে আড়াইয়ে নেমে এসেছিল। আমরা গুরুত্বপূর্ণ সময় উইকেট নিয়ে লক্ষ‍্যটা ২৭৩ রেখেছিলাম। পেসারদের নিয়ে আমি গর্বিত। ওরা সারা দিন ধরে চাপ ধরে রেখেছিল। আর সাফল‍্যের জন‍্য এটাই রেসিপি, সেন্ট জর্জেস পার্কেও এটা বদলাবে না।”