কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে বুধবার রাতে ঘরের মাঠে ছয়বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নদের ১-০ গোলে হারিয়েছে ভিয়ারিয়াল।
ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। স্বাগতিকদের একটি প্রচেষ্টা পোষ্টে লাগে, সুযোগও হারায় তারা কয়েকটি।
চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেল বায়ার্ন। ইউরোপ সেরার মঞ্চে তাদের বিপক্ষে প্রথম জয় পেল ভিয়ারিয়াল।
ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় এর আগে দুবার দেখা হয়েছিল দল দুটির। ২০১১-১২ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে ঘরের মাঠে ৩-১ গোলে ও অ্যাওয়ে ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছিল বায়ার্ন।
শেষ ষোলোয় ইউভেন্তুসকে হারিয়ে আসা ভিয়ারিয়াল অষ্টম মিনিটে প্রথম আক্রমণ থেকেই বায়ার্নের জালে বল পাঠিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসায় সমর্থকদের।
ডান দিকের বাইলাইনের কাছ থেকে আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার জিওভানি লো সেলসো পাস দেন বক্সের মাঝে। দানিয়েল পারেহোর শটে ছয় গজ বক্সে পা ছুঁয়ে শুধু বলের দিক পাল্টে দেন দানজুমা।
ইউভেন্তুসের বিপক্ষে ফিরতি লেগে ৩-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচেও একটি গোল করেছিলেন তিনি। এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৯ ম্যাচে তার গোল হলো ৬টি।
শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে সালসবুর্ককে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়া বায়ার্ন স্বাগতিক গোলরক্ষকের পরীক্ষাই নিতে পারছিল না। বরং ৪১তম মিনিটে তাদের জালে আবার বল পাঠায় ভিয়ারিয়াল, তবে অফসাইডের কারণে এবার গোল মেলেনি।
প্রথমার্ধে গোলের জন্য বায়ার্নের পাঁচ শটের একটিও লক্ষ্যে থাকেনি। আর ভিয়ারিয়ালের ছয় শটের একটি লক্ষ্যে, সেটিই খুঁজে পায় ঠিকানা।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে ম্যাচে নিজেদের প্রথম ভালো সুযোগ পায় বায়ার্ন। সের্গে জিনাব্রির পাসে ছয় গজ বক্সে প্রয়োজন ছিল শুধু বলে পা ছোঁয়ানোর, সেটিই পারেননি অরক্ষিত টমাস মুলার।
৫৩তম মিনিটে আরেক দফা বেঁচে যায় বায়ার্ন। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জেরার্দ মরেনোর বাঁ পায়ের জোরাল শট পোষ্টে লাগে।
চার মিনিট পর আলফুঁস ডেভিসের দৃঢ়তায় ব্যবধান বাড়েনি। দানজুমার পাসে কাছ থেকে মরেনোর শট ডাইভ দিয়ে রুখে দেন কানাডার এই ডিফেন্ডার।
একটু পর মানুয়েল নয়ারের মারাত্মক ভুলে গোল খেতে বসেছিল বায়ার্ন। মাঝমাঠে উঠে এসে জার্মান গোলরক্ষক বল তুলে দেন প্রতিপক্ষের পায়ে। প্রায় ৫০ গজ দূর থেকে মরেনোর নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি।
৬৬তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হারান দানজুমা। ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে শট নিতে দেরি করে ফেলেন তিনি। তাকে রুখে দেন সফরকারীদের এক ডিফেন্ডার। পরের মিনিটে দূর থেকে ডেভিসের শটে বল এক হাতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান জেরোনিমো রুলি।
নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে ব্যবধান দ্বিগুণ করার আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া করেন আলফোন্সো পেদ্রাসা। ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে বাইরে মারেন দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
২০১৭ সালের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অ্যাওয়ে ম্যাচে হারল বায়ার্ন।
এই মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে ৫১ গোল করা রবের্ত লেভানদোভস্কি পুরো ম্যাচেই নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন। তার নিজের ও বায়ার্নের সামনে আগামী মঙ্গলবার ঘরের মাঠে ফিরতি লেগের চ্যালেঞ্জ।