তবে কোন হাসপাতালে কতজন চিকিৎসা নিয়েছেন
তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে পারেননি তিনি।
অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষ ডায়রিয়াসহ নানা
রোগে আক্রান্ত হচ্ছে জানিয়ে বুধবার সকালে খায়রুজ্জামান বলেন, চলতি মাসের প্রথম দিন
৩৮ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। ২ এপ্রিল ৪৬ জন, ৩ এপ্রিল ৩২ জন, ৪ এপ্রিল
৬০ জন এবং ৫ এপ্রিল ৫৬ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার
হিসাবে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ
মাস্টার হাসপাতালে শিশুসহ ৪৬ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের
পরিচালক তপন কান্তি সরকার বলেন, বুধবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় এই হাসপাতালে ২৯
জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১১ জন পুরুষ, নয়জন নারী ও নয়জন শিশু রয়েছে।
মার্চে এই হাসপাতালে কতজন চিকিৎসা নিয়েছেন
তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে না পারলেও তিনি বলেন, গত মার্চেও ডায়রিয়া নিয়ে রোগী ভর্তি
হয়েছে। তবে সংখ্যায় খুব বেশি ছিল না। এ হাসপাতালে ডায়রিয়ার রোগীর জন্য আলাদা কোনো ওয়ার্ড
খোলা হয়নি। মেডিসিন ওয়ার্ডে রেখেই তাদের ডায়রিয়ার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রোগীর সংখ্যা বাড়লে ডায়রিয়ার জন্য আলাদা
ওয়ার্ড খোলা হবে। প্রচণ্ড গরম, পানি দূষণ ও খাবারে বিষক্রিয়ার কারণেই মানুষ ডায়রিয়ায়
আক্রান্ত হচ্ছেন বলে মনে করেন তিনি।
টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হাসপাতালের
পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় এ হাসপাতালে ডায়রিয়া নিয়ে ১৭
জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে নয়জন পুরুষ, তিনজন নারী ও পাঁচ শিশু।
গত মার্চ মাসে এ হাসপাতালে ২৭৯ জন ডায়রিয়ার
চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান পরিচালক মুকুল।
তিনি বলেন, সপ্তাহখানেক আগে এখানে ২০ বেডের
ডায়রিয়া ওয়ার্ডও খোলা হয়েছে। প্রয়োজনে এ বেডের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। ডায়রিয়া ও রোগীদের
অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
তীব্র গরম, পরিবেশ দূষণ, মশা-মাছির উপদ্রব
বৃদ্ধি, পানি দূষণ থেকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, পরিবেশের দূষণরোধ,
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষা, বাসি-পচা খাবার বর্জন, বিশুদ্ধ পানি ও মশা-মাছির নিয়ন্ত্রণের
মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে জানান তিনি।