সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ৫-২ গোলে জিতেছে লিগের রেকর্ড ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। জোড়া গোল করেন কোস্টা রিকার ফরোয়ার্ড কলিনদ্রেস। জয়ী দলের অপর গোলদাতা সোহেল রানা ও রাফায়েল অগাস্তো।
আবাহনীর জয়ে লিগ শিরোপার লড়াই জমে উঠল। ১১ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা।
দিনের অন্য ম্যাচে, শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের সঙ্গে ৩-৩ ড্র করা বসুন্ধরা কিংস ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। ২১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে শেখ জামাল।
দারুণ এই জয়ে এএফসি কাপের বাছাইয়ের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিল মারিও লেমোসের দল। আগামী ১২ এপ্রিল সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে মালদ্বীপের দল ভালেন্সিয়ার মুখোমুখি হবে তারা।
প্রথম মিনিটেই বড় জয়ের ইঙ্গিত দিয়ে রাখে আবাহনী। ডান দিক থেকে সুশান্ত ত্রিপুরার ক্রসে কলিনদ্রেসের হেড জালে জড়ায়।
চতুর্থ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে আসা লং বল ক্লিয়ার করতে অযথাই পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন গোলরক্ষক সাইফুল ইসলাম। কিন্তু বলের নিয়ন্ত্রণ পাননি। ফাঁকায় বল পেয়ে জীবন নিখুত শটে সুযোগ কাজে লাগান।
চতুর্দশ মিনিটে ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ পায় উত্তর বারিধারা। সুজন বিশ্বাস বল বাড়ান বক্সে থাকা মোস্তফা কাহরাবাকে। এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শট নেওয়ার মতো জাগয়া করতে না পেরে কাটব্যাক করেন মিশরের এই মিডফিল্ডার। পাপন প্রথম ছোঁয়ায় তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান পায়ের নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন।
২৪তম মিনিটে রাফায়েল অগাস্তোর শট জীবনের পা হয়ে বক্সে পেয়ে যান সোহেল রানা, ফাঁকায় থাকা এই মিডফিল্ডার সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি। উত্তর বারিধারার ঘুরে দাঁড়ানোর পথটা আরও কঠিন হয়ে যায় ৩৫তম মিনিটে কলিনদ্রেসের গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় আবাহনী। ৬১তম মিনিটে স্পট কিক থেকে লক্ষ্যভেদ করেন রাফায়েল।
সাত মিনিট পর ব্যবধান কমায় উত্তর বারিধারার আরিফ হোসেল। বাকিটা সময়ে পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকের দলটি পারেনি অবিশ্বাস্য কিছু করতে। টানা তৃতীয় হারের তেতো স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।