বুধবার তাদের গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার
সাংবাদিকদের জানানো হয।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- মো. সাজ্জাদ (২০),
হাবিবুল্লাহ মিজবাহ (২৫) ও মো. রাশেদ (২০)।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে সাজ্জাদ
চোরাই মোবাইল সংগ্রহ করে আইএমইআই বদলের পর বিক্রি করেন। আর একটি মোবাইলের দোকানের মালিক
হাবিবুল্লাহ মিজবাহ ও কর্মচারী রাশেদ আইএমইআই ‘ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডিন্টিটি’
নম্বর বদলের কাজ করেন।
সাজ্জাদ নগরীর কোতোয়ালি থানার বলুয়ারদিঘীর
পূর্ব পাড়ের মো সেলিমের ছেলে। হাবিবুল্লাহ মিজবাহ নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার কবির
আহমেদের ছেলে। আর ফটিকছড়ি পৌরসভার উত্তর ধুরুং গ্রামের বদিউল আলমের ছেলে দোকান কর্মী
মো. রাশেদ।
অভিযানে গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ১১৭টি মোবাইল
ফোন সেট, তিনটি ল্যাপটপ ও আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার এসআই মোমিনুল হাসান বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বুধবার বিকেলে নগরীর পুরাতন রেল স্টেশন সংলগ্ন বাগদাদ হোটেলের
গলির থেকে মো. সাজ্জাদকে আটক করা হয়। তখন তার হাতে থাকা শপিং ব্যাগে ৫টি মোবাইল পাওয়া
যায়।
কোতোয়ালি থানার ওসি জাহিদুল কবির বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “সাজ্জাদ জানায় সিডিএ মার্কেট রয়েল প্লাজার ইনোভেটিভ ফোন
কেয়ার নামের দোকানের মালিক হাবিবুল্লাহ মিজবাহ ও তার কর্মচারী রাশেদ আইএমইআই বদলে দেয়।
এরপর বুধবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে ওই দোকান থেকে দুজনকে আটক করে পুলিশ।”
জিজ্ঞাসাবাদে হাবিবুল্লাহ মিজবাহ টাকার বিনিময়ে
বিভিন্ন দামি ব্র্যান্ডের চোরাই মোবাইল আইএমইআই বদলে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন বলে
ওসি জানান।
ওসি জাহিদুল কবির বলেন, রিয়াজউদ্দিন বাজারের
তামাকুমন্ডি লেইনের হাসিনা হক শপিং সেন্টারের চৌধুরী ডটকম নামের দোকানের মালিক জয় চৌধুরীর
(২৩) সম্পৃক্ততা জানতে পেরে সেখানেও অভিযান চালায় পুলিশ।
তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জয় চৌধুরী
পালিয়ে যায় জানিয়ে ওসি বলেন, ওই দোকানে তল্লাশি চালিয়ে ১০৪টি প্যাকেটবিহীন মোবাইল ফোনসেট
পেয়ে তা জব্দ করা হয়।
দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪১৩ ধারা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা
আইন ২০১৮ এর ২২ ধারায় এই চার জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে পুলিশ। জয় চৌধুরীকে গ্রেপ্তারে
অভিযান চলছে বলেও জানান ওসি।