বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে এ
সংক্রান্ত ‘প্রক্রিয়া’ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের
জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আলোচনায় দুই দেশের সম্পর্ক গুরুত্ব পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের আরেকটি দাবি ছিল। সেটা হচ্ছে, জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের যে হত্যাকারী
তাদের মধ্যে আদালত দ্বারা সাজাপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামী রাশেদ চৌধুরী সেখানে পালিয়ে আছে,
তাকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে।
“তিনি যেটা বলেছেন, সেটা হচ্ছে যে এটাতো একটি বার্নিং ইস্যু। এসব ইস্যুগুলি আমরা
ত্বরিত ফয়সালা করাটা উচিত, এই পর্যন্ত আলাপ হয়েছে।”
বাংলাদেশের
স্বাধীনতার চার বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। ফাইল ছবি
অনেক
বাধা পেরিয়ে সেই মামলার রায়ে দণ্ডিতদের মধ্যে এ পর্যন্ত ছয় জনের ফাঁসি কার্যকর
হলেও পাঁচ খুনি এখনও রয়েছে অধরা। এর মধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান
করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে
পালিয়ে থাকা রাশেদ চৌধুরীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত সে দেশের সরকার
পর্যালোচনার উদ্যোগ নিচ্ছে বলে গত বছর খবর এসেছিল।
ফেরানোর অগ্রগতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, “ওনারা যেটা বলেছেন, এই বিষয়টা আমাদের যে সম্পর্ক,
এই বিষয়টায় নেতিবাচক ছায়া পড়ুক, তা তিনি চান না।
“এ বিষয়ে কিছু মডালিটির আলাপ হয়েছে, সে ব্যাপারে আমি
এখন কিছু বলব না। সেই মডালিটি অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাব।”
বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের ৫০ বছরে যে ‘দৃঢ়তা’ দেখানো হয়েছে এবং সেই সম্পর্ক
যেন আরও দৃঢ় হয় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান আনিসুল হক।
“যে যে ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে ইরিট্যান্ট বা আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা দেখা দেয়,
সেগুলো নিয়ে অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে তিনি আমাকে বলেছেন, সেগুলি আমরা আগে আলাপ করব।”
এ বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমরা চাই এই সম্পর্ক আমরা এগিয়ে
নিয়ে যাব।”
আইন
মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কার্যক্রমের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “মানবপাচারের বিষয়ে ওনারা প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং এটা সচল রাখবেন।
“সাইবার ট্রাইব্যুনাল যেটা আছে, সেখানেও আমরা আইনজীবী এবং বিজ্ঞ বিচারককে আমরা
ট্রেইনিং দেওয়ার ব্যবস্থা করব।”
আরও পড়ুন
বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরানো যাবে, আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বঙ্গবন্ধুর
পলাতক খুনিদের তথ্য দিলে পুরস্কার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী