বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খন্দকার
ইকরামুল করিম রাস্তাটি খুলে দেওয়ার জন্য সোমবার কালিয়ার ইউএনও বরাবর আবেদন করেছেন।
আবেদনে বলা হয়, ১৯৮০ সালে ছয় ব্যক্তি ৫৪
শতাংশ জমি দলিলের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের নামে দান করেন এবং দখল বুঝিয়ে দেন। দাতাদের একজন
পানিপাড়া গ্রামের বাবন ঠাকুরের ছেলে মতিয়ার রহমান ঠাকুর। মতিয়ারের বাড়ির সামনের একটি
রাস্তা দিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার ব্যবস্থা ছিল। সম্প্রতি মতিয়ার সেখানে বেড়া দিয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের
নামে ৫৪ শতাংশ জমি থাকলেও বর্তমানে মাত্র ১৪ শতাংশ দখলে আছে। বাকি জমি দাতারাই দখল
করে নিয়েছেন।
স্থানীয়ভাবে রাস্তাটি মুক্ত করার চেষ্টা
করে ব্যর্থ হয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন বলে জানান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
মতিয়ার রহমান ওই জমিকে নিজের বলে দাবি করেছেন।
তবে তিনি ওই জমি দান করেছিলেন কিনা সে বিষয়ে কোনো উত্তর দেননি।
তিনি বলেন, “স্কুলের রাস্তাটি আমার জমির
ওপর দিয়ে হওয়ার কারণে আমি বন্ধ করে দিয়েছি। প্রয়োজনে অন্য জায়গা দিয়ে স্কুলের রাস্তা
নির্মাণে সহযোগিতা করব।”
ইউএনও মো. আরিফুল ইসলাম সমস্যার বিষয়ে আবেদন
পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি সহকারী কমিশনার
(ভূমি) মো. জহুরুল ইসলামকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
জহুরুল ইসলাম বলেন, তিনি শিগগিরই তদন্ত করে
আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।