বৃহস্পতিবার দূতাবাসের এক
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি করার পাশাপাশি জানানো হয়েছে, তবে এই মুহূর্তে তাদের স্বেচ্ছাসেবী
যোদ্ধার প্রয়োজন নেই।
নেটোতে ইউক্রেইনে যোগদানের
আগ্রহের প্রতিক্রিয়ায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া।
এরপর দেড় মাস ধরে সেখানে যুদ্ধ চলছে।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির
জেলেনস্কি বিদেশিদের তাদের পক্ষে যুদ্ধে লড়ার আহ্বান জানান। বিদেশি নাগরিকদের কেউ স্বেচ্ছায়
যুদ্ধে যেতে চাইলে, তাদের সুযোগ দেওয়ার অনুমোদন দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এর মধ্যেই রুশ দূতাবাসের
বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেইন ও দনবাস অঞ্চলের স্বাধীনতার লড়াইয়ে বিনা পয়সায় যোগ দেওয়ার
ইচ্ছা জানিয়ে অনেক বাংলাদেশি নাগরিকের লেখা চিঠি পেয়েছে তারা।
“পূর্ব ইউরোপে নেটো ও ইউক্রেইনের
নব্য-নাৎসিবাদকে প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়ার অবস্থানের প্রতি বাংলাদেশিদের এমন স্বীকৃতি
বেশ হৃদয়গ্রাহী।”
রুশ দূতাবাস বলছে, “আমরা
বাংলাদেশি জনগণের এমন মহানুভব আহ্বানকে সাধুবাদ জানাই। অবশ্য, বিশেষ সামরিক অভিযান
পরিকল্পনা অনুযায়ীই চলছে। উদ্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সফলতার সাথেই অর্জন করছে রুশ
সামরিক বাহিনী।
“ফলে ওই সামরিক অভিযানে বাংলাদেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবী যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।”
রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ: বাংলাদেশের ‘নিরপেক্ষ’ অবস্থান যৌক্তিক?
ইউক্রেইনে অভিযানের পক্ষে
যুক্তি দেখিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ’বন্ধুপ্রতীম’ দোনেৎস্ক ও লুগানস্ক রিপাবলিকের এবং
ইউক্রেইনের রুশ ভাষাভাষী জনগণকে ‘রক্ষার’ জন্য এই অভিযান শুরু হয়।
ইউক্রেইনে অভিযান শুরুর পর
থেকে পশ্চিমাদের একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় জর্জর এখন রাশিয়া।