ক্যাটাগরি

পানি বৃদ্ধি, বোরো নিয়ে বিপাকে কুড়িগ্রামের চাষিরা

কুড়িগ্রামের ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রসহ ১৬টি নদ নদীর বুকে জেগে ওঠা বালু চরে বোরো ধানের আবাদ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। কিন্তু কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির ফলে বোরো আবাদ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সবুর জানান, গত ১ মার্চ থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কুড়িগ্রামে ২০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টির ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাঁটু ও কোমর পানিতে নেমে আধাপাকা ধান কাটছেন কৃষকরা।

কৃষকরা জানান, হঠাৎ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ধানের খড় নিয়েও তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তাই খড়-ধান পাওয়ার আশায় তাড়াহুড়ো করে কোমর পানিতে নেমে বোরো ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

ধরলা নদীর অববাহিকার উওর আরাজি কদমতলা গ্রামের কৃষক সাধু মিয়ে জানান, প্রতি বছরের মত এবারও ৪ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছিলেন। ভালো ফসল পাওয়ার আশাও ছিল। কিন্তু হঠাৎ ভারি বৃষ্টি হওয়ায় আশার স্রোতে ভাটা পড়েছে তার।

তিনি বলেন, “পানি না বাড়লে বিঘায় ১০-১২ মণ ধান পাওয়া যেত। কিন্তু হঠাৎ পানি বৃদ্ধির কারণে কাঁচা ধান কাটাতে হয়েছে। এখন বিঘায় ৬-৭ মণ ধান পাওয়ার আশা করছি।”

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুর রশীদ জানান, জেলার নদ নদীর তীরে ১ হাজার ২’শ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে এবং ফলনও ভাল হয়েছে। বৃষ্টিপাতে কারণে সামান্য একটু পানি বাড়লেও বোরো আবাদে তেমন কোন প্রভাব পরবে না।