ক্যাটাগরি

এলগারের ফিফটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ভালো শুরু

টস জিতে ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ২৮ ওভারে ১০৭/১

 

একশ রান, ১
উইকেট, ১
সুযোগ

অধিনায়কের ফিফটিতে পোর্ট
এলিজাবেথ টেস্টে
ভালো শুরু
পেয়েছে দক্ষিণ
আফ্রিকা।
প্রথম দিনের
প্রথম সেশনে
শতরান তুলেছে
স্বাগতিকরা।

একমাত্র উইকেট এসেছে
সৈয়দ খালেদ
আহমেদের হাত
ধরে।
এরেল সারউইয়াকে
কট বিহান্ড
করেছেন এই
পেসার।
বাঁহাতি ওপেনারের
উইকেট আগেই
পেতে পারতেন
তিনি, যদি
যথা সময়ে
এলবিডব্লিউর রিভিউ নিতেন অধিনায়ক মুমিনুল
হক।

৫২ রানের শুরুর
জুটি ভাঙার
পর দ্বিতীয়
উইকেটে কিগার
পিটারসেনের সঙ্গে আরেকটি ভালো জুটি
উপহার দিচ্ছেন
এলগার।
৮১ বলে
পঞ্চাশ ছুঁয়ে
এগিয়ে যাচ্ছে
তাদের জুটি।

লাঞ্চে যাওয়ার সময়
দক্ষিণ আফ্রিকার
রান ২৮
ওভারে ১
উইকেটে ১০৭। ৮০ বলে ৮ চারে
৫৯ রানে
খেলছেন এলগার। ৪৮ বলে ৩ চারে
পিটারসেনের রান ২৪।

এলগারের টানা তৃতীয়

ডারবান টেস্টে দুই ইনিংসেই ফিফটি করা ডিন এলগার দাঁড়িয়ে গেছেন এবারও। শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে খেলে ছুঁয়েছেন পঞ্চাশ, ৬৬ বলে।

বাজে বল পেলে কাজে লাগাচ্ছেন। এক-দুই নিয়ে সচল রেখেছেন রানের চাকা। ৭ চারে সাজানো এই ইনিংস খেলার পথে গড়েছেন সেন্ট জর্জেস পার্কে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

৬১৭ রান নিয়ে এতো দিন সর্বোচ্চ ছিল জ‍্যাক ক‍্যালিসের। সেটা ছাড়িয়ে আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কঅ।

খালেদই ফেরালেন এরউইয়াকে

ম‍্যাচের তৃতীয় ওভারেই সারেল এরউইয়ার উইকেট পেতে পারতেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। এলবিডব্লিউর রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নিতে মুমিনুল হক দেরি করে ফেলায় ৪ রানে বেঁচে যান দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার। শেষ পর্যন্ত কট বিহাইন্ড করে তাকে থামালেন খালেদ, ভাঙলেন শুরু জুটি।

অফ স্টাস্পের বেশ বাইরের বলের কাছে যাননি এরউইয়া। দূর থেকেই ড্রাইভ করেন। মাঝ ব‍্যাটে খেলতে পারেননি, কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে লিটন দাসের গ্লাভসে। ভাঙে ৭২ বল স্থায়ী ৫২ রানের জুটি।

চারটি চারে ৪০ বলে ২৪ রান করেন এরউইয়া।

ক্রিজে ডিন এলগারের সঙ্গী কিগার পিটারসেন।

শুরুর জুটিতে পঞ্চাশ

লাইন ও লেংথে ধারাবাহিক নন বাংলাদেশের বোলাররা। সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্রুত রান তুলছেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার ডিন এলগার ও সারেল এরউইয়া। ৬৩ বলেই দল ও জুটির রান পঞ্চাশে নিয়ে গেছেন তারা।

এর ৩২ রানই এসেছে বাউন্ডারি থেকে। দুজনই মেরেছেন চারটি করে চার।

১১ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান বিনা উইকেটে ৫২। ৩৪ বলে ২৪ রানে খেলছেন এরউইয়া। ৩২ বলে এলগারের রান ২৮।

মুমিনুলের সিদ্ধান্তের দেরিতে বাঁচলেন এরউইয়া

তৃতীয় ওভারেই হাতে ধরা দিতে পারতো উইকেট। সারেল এরউইয়ার বিপক্ষে এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেওয়ার তাগিদ দেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। কেউ একজন জিজ্ঞেস করেন, ব‍্যাটে বলের স্পর্শ আছে কি না। ডানহাতি এই পেসার নেতিবাচক ইশারা করেন।

অধিনায়ক মুমিনুল হক রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নিতে নিতে পেরিয়ে যায় নির্ধারিত ১৫ সেকেন্ড সময়। পরে রিপ্লেতে দেখা গেছে, ব‍্যাটে বলের স্পর্শ ছিল না, আঘাত হানতো লেগ স্টাম্পের উপরের দিকে।

হাতছাড়া হয়ে যায় শুরুতেই উইকেট পাওয়ার সুযোগ।

সে সময় ৪ রানে ছিলেন এরউইয়া।

পেসের সঙ্গে স্পিন দিয়ে শুরু

প্রথম ওভারে পেসার খালেদ আহমেদ দিয়েছেন কেবল ১ রান। স্পিনে শক্তি বাড়ানো বাংলাদেশ দ্বিতীয় ওভারেই আক্রমণ এনেছে মেহেদী হাসান মিরাজকে। অফ স্পিনারের ওভারে সারেল এরউইয়ার বাউন্ডারিতে এসেছে ৭ রান।  

সবশেষ  ১৯৩৫ সালের ডিসেম্বরে টেস্টের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন বল হাতে নিয়েছিলেন কোনো স্পিনার। সেবার জোহানেসবার্গে টস হেরে বোলিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। তাদের প্রথম ওভারটি করেন ফাস্ট বোলার আর্নি ম্যাককরমিক, দ্বিতীয় ওভারেই আসেন লেগ স্পিন কিংবদন্তি বিল ও’রাইলি।

একই একাদশ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা

২২০ রানে জেতা প্রথম টেস্টের একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম‍্যাচেও খেলছে তিন পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে।

দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: ডিন এলগার (অধিনায়ক), সারেল এরউইয়া, কিগান পিটারসেন, টেম্বা বাভুমা, রায়ান রিকেলটন, কাইল ভেরেইনা, ভিয়ান মুল্ডার, কেশভ মহারাজ, সাইমন হার্মার, লিজাড উইলিয়ামস, ডুয়ানে অলিভিয়ের।

ফিরলেন  তামিম, তাইজুল

অনেক আলোচনার পর পোর্ট এলিজাবেথ টেস্ট দুই বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। চোটের জন‍্য দেশে ফিরে যাওয়া তাসকিন আহমেদের জায়গায় একাদশে এসেছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তিনি সবশেষ টেস্ট খেলেছিলেন গত বছর ডিসেম্বরে, দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে।

বাংলাদেশ এই ম‍্যাচে খেলছে দুই পেসার নিয়ে। আগের ম‍্যাচে চমৎকার বোলিংয়ে টিকে গেছেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। তার সঙ্গী গতিময় পেসার ইবাদত হোসেন চৌধুরি। ম‍্যাচের জন‍্য আরও বেড়েছে আবু জায়েদ চৌধুরির অপেক্ষা।

পেটের পীড়া থেকে সেরে ওঠা তামিম ইকবাল ফিরেছেন বাজে সময়ের মধ‍্য দিয়ে যাওয়া সাদমান ইসলামের জায়গায়। গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলেছিলেন বাঁহাতি ওপেনার তামিম।

বাংলাদেশ একাদশ: মাহমুদুল হাসান জয়, তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, ইয়াসির আলি চৌধুরি, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন, সৈয়দ খালেদ আহমেদ।

টস জিতে ব‍্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা

টস ভাগ‍্য এবার পাশে পেলেন ডিন এলগার। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক নিলেন ব‍্যাটিং। বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক জানালেন, টস জিতলে তিনিও নিতেন ব‍্যাটিং।

বাংলাদেশের জয়ের অভিযান

টেস্ট নিয়েই প্রস্তুতি ছিল বেশি। বাংলাদেশ টাইগার্সের হয়ে দলের অনেকেই ছিলেন বগুড়ার ক্যাম্পে। ওয়ানডে দলের সঙ্গে একই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় পা রাখার পর গ্যারি কার্স্টেনের একাডেমিতে চলে তাদের নিবিড় অনুশীলন। এসবের ছাপ রাখা যায়নি প্রথম ম্যাচে।

বরং ২২০ রানে ডারবান টেস্ট হারার পর সামনে আসে নানা বিতর্ক। টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত, সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সম্পর্কের টানাপোড়েন, এসব নিয়ে গত কয়েকদিনে দেশের কিছু সংবাদমাধ্যমে নানা খবর হয়। সেই বিতর্কের ঢেউ দলকেও স্পর্শ করে কিছুটা। কিছু কিছু খবরে কাঠগড়ায় তোলা হয় অধিনায়ক মুমিনুলকেও।

বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান অবশ্য জানিয়েছেন, দল আছে ফুরফুরে মেজাজে। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জয়ের লক্ষ্যে নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার।

পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জেস পার্কে খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ২টায়।

উইন্ড টানেলের চ‍্যালেঞ্জ 

এই মাঠে অনেক ম‍্যাচে খেলার অভিজ্ঞতা থাকা বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ অ‍্যালান ডোনাল্ড দলকে সাবধান করে দিয়েছেন উইন্ড টানেল নিয়ে। প্রোটিয়াদের সাবেক এই পেসারের মতে, এখানে উঁচু ক‍্যাচ ধরতে সত‍্যিকারের স্কিল প্রয়োজন হবে।

পেসারদের বলেছেন, এখানে বোলিং করতে হবে মাথা খাটিয়ে। বাতাসের সঙ্গে কিংবা বিপরীতে বোলিংয়ের পথ বের করে নিতে হবে।

অধিনায়ক মুমিনুল হক মনে করেন, এই মাঠে রিভার্স সুইং মিলতে পারে। বাতাসের জন‍্য এয়ার সুইংও মিলতে পারে। সব মিলিয়ে ব‍্যাটসম‍্যানদের জন‍্যও বড় চ‍্যালেঞ্জ দেখেন তিনি। 

ম‍্যাচের আগে এলগারের খোঁচা

২২০ রানে প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে থাকা ডিন এলগার দ্বিতীয় ম‍্যাচের আগে স্লেজিংয়ের প্রশ্নে বাংলাদেশ দলকে মেরেছেন খোঁচা। মনে করিয়ে দিয়েছেন, টেস্ট ক্রিকেট খেলতে হয় পৌরষ দিয়ে।

“আমার মনে হয়, এই পর্যায়ে খেলতে হলে ওদেরকে আরও শক্ত হতে হবে, যেটায় ওরা হয়তো অভ্যস্ত নয়। আমাদের সঙ্গে যা করা হয়েছে, আমরা সেভাবেই ওদের ফিরিয়ে দিয়েছি।”

“হয়তো বাংলাদেশ মানসিকভাবে আটকে গেছে, যা দারুণভাবে আমাদের পক্ষে এসেছে। গেমম্যানশিপ থেকে এসব আসে। প্রতিপক্ষকে খাবি খাওয়াতে হবে, নাস্তানাবুদ ও চাতুর্যে পরাস্ত করতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটের সামগ্রিক আবেগ ও মানসিক ব্যাপারই এটা, লোকে যা কখনও কখনও ভুলে যায়। এরপর যদি স্কিল যোগ করে সবকিছু ঠিকঠাক করেন, সেটাই টেস্ট ক্রিকেট।”