কালো কাউবয় টুপি এবং চোখে সানগ্লাস
নিয়ে টেক্সাসে টেসলার একশ দশ কোটি ডলারের গিগাফ্যাক্টরি উদ্বোধনের সময় এই ঘোষণা দেন
মাস্ক। এখানেই হতে যাচ্ছে টেসলার নতুন প্রধান কার্যালয়।
“বিশাল পরিমানে উৎপাদন, সম্পূর্ণ স্ব-চালিত,
একটি ডেডিকেটেড রোবোট্যাক্সি হবে” – কারখানায় এক বড় সমাবেশে মাস্ক বলেন।
“সম্পূর্ণ স্ব-চালিত” বিষয়টি মাস্কের
জন্য সোনার হরিণ হয়েই রয়েছে। এর আগে একাধিকবার তিনি সম্পূর্ণ স্বচালিত গাড়ি বাজারে
আনার তারিখ পিছিয়েছেন। ২০১৯ সালে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ২০২০ সালের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের
কিছু বাজারে রোবট্যিাক্সির দেখা মিলবে যাতে কোনো মানব চালক থাকবে না।
গেল জানুয়ারিতেই তিনি ফের বলেন, মানব
চালকের চেয়ে নিরাপদ স্বচালিত গাড়ি এই বছরের মধ্যে আনতে না পারা তার জন্য একটি “যাচ্ছেতাই
বিষয়” হবে।
এ বছরই টেসলার “সম্পূর্ণ স্বচালিত” গাড়ির
গ্রাহকদের কাছে পূর্ণ স্বচালনা সফটওয়্যোরের বেটা সংস্করণ পৌঁছে দেবে বলে তিনি উল্লেখ
করেন।
টেসলা তার অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিস্টেন্স
সিস্টেম এখন ১২ হাজার ডলারে বিক্রি করছে। বিভিন্ন সুবিধার প্রতিশ্রুতি থাকলেও টেসলা
বলছে এটি পুরোপুরি স্বচালিত নয় এবং এটি ব্যবহার করে গাড়ি চালানোর সময় মানব চালক গাড়িতে
থাকা আবশ্যিক।
২০২০ সালের শেষের দিকে চালু করা বিটা
সংস্করণটির লক্ষ্য শহরের রাস্তায় আরও ভালভাবে গাড়িকে চালনায় সক্ষম করা। জানুয়ারির
মধ্যেই মার্কিন ক্রেতারা এটি প্রায় ৬০ হাজার
গাড়িতে ইনস্টল করেছেন।
মাস্ক বলেন, টেসলা টেক্সাসের তৈরি মডেল
ওয়াই ইলেকট্রিক স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল সরবরাহ করতে শুরু করেছে। বছরে ৫০ লাখ গাড়ি
উৎপাদনের লক্ষ্য অর্জন করতে পারলে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম গাড়ি কারখানা
হবে।
মডেল ওয়াই নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য
না দিলেও সস্তার গাড়ি নির্মাতাদের চ্যালেঞ্জ জানাতে এরও মূল্য কম হওয়ার কথা বাজারে
চাউর রয়েছে।
আগামী বছরের মধ্যেই সাইবার ট্রাক এবং
মানবাকৃতির রোবট অপ্টিমাস তৈরির পরিকল্পনার কথা জানান মাস্ক।
বিশ্লেষকদের মতে, টেক্সাস এবং বার্লিনের
গিগাফ্যাক্টরিতে নতুন উৎপাদনপদ্ধতি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে টেসলার জন্য।
মাস্ক বলছেন, তিনি গাড়ি তৈরির প্রক্রিয়ায়
সরলীকরণ আনছেন যাতে করে মূল তিনটি অংশ জুড়ে দিয়েই গাড়ি তৈরি সম্ভব।