টেলিগ্রামে গভর্নর পাবলো কিরিলেঙ্কো বলেছেন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯ হয়েছে এবং গোলায় আরও ৮৭ জন আহত হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে। তবে ট্রেন স্টেশনে হামলায় আহতের সংখ্যার ভিন্ন খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, প্রায় ৩০০ জন আহত হয়েছে। আবার ট্রেন কোম্পানির কর্মকর্তারা বলছেন, আহতের সংখ্যা ১০০। তারা নিহতের সংখ্যাও ৩০ উল্লেখ করেছেন।
রকেট হামলার সময় স্টেশনটিতে দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেইনের তুলনামূলক নিরাপদ অঞ্চলে যাওয়ার চেষ্টায় থাকা এক হাজারের বেশি মানুষ ছিল। ক্রামাতোরস্ক থেকে আসা কিছু ছবি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করে দেখেছে বিবিসি। এতে শুক্রবার সকালের হামলায় ধ্বংসযজ্ঞ দেখা গেছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, স্টেশনের কাছ দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় তিনি হাজারেরও বেশি মানুষের ভিড় দেখেছেন এবং স্টেশন পার হওয়ার দু’মিনিট পরই ৫ থেকে ১০ টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইনস্টাগ্রামে বলেছেন, “যুদ্ধের ময়দানে আমাদের সামনে দাঁড়ানোর হিম্মত ও সাহস না থাকায় তারা (রুশ বাহিনী) এখন নিষ্ঠুরভাবে বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে গুড়িয়ে দিচ্ছে। এই শয়তান এমন যার সীমা পরিসীমা নেই, শাস্তি না হলে এ থামবে না।”
ওদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দোনেৎস্কের ওই রেল স্টেশনে হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, এটি একটি উস্কানি এবং পুরোপুরি অসত্য। ইউক্রেইনের অন্যান্য জায়গাতেও ইদানিংকালে রাশিয়ার হামলা এবং নৃশংসতার অভিযোগও রাশিয়া একইভাবে অস্বীকার করেছে।
ক্রামাতোরস্কে রেল স্টেশনে হামলায় রাশিয়া ইস্কান্দার বা টোচকা-ইউ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে দাবি কিইভের। অন্যদিকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বলছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা যেসব ছবি দিয়েছেন, তাতে হামলায় টোচকা-ইউ ক্ষেপণাস্ত্রই ব্যবহার হয়েছে বলে বোঝা যাচ্ছে; ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘কেবল ইউক্রেইনের বাহিনীই’ ব্যবহার করে।
একই ধরনের একটি ক্ষেপণাস্ত্র গত ১৪ মার্চ দোনেৎস্ক শহরে আঘাত হানে বলেও রুশ সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। মার্চের ওই হামলা ইউক্রেইনই করেছিল বলে দাবি মস্কোর; সেদিনের হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত ও ৩৬ জন আহত হয়েছিল বলেও জানিয়েছিল তারা।