ক্যাটাগরি

দেশে এখন ‘কষ্টকর সময়’: ফখরুল

শুক্রবার হোটেল পূর্বাণীতে ২০ দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)
আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বিএনপি মহাসচিব বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, “দেশে একটা কষ্টকর সময় চলছে। বিশেষ করে আমাদের সাধারণ মানুষের যে
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি চাল-ডাল-তেল-লবণ এগুলোর মূল্য এত বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে যেখানে
মানুষের জীবন প্রায় দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।

“শুধু জিনিসপত্রের দামই বেড়েছে তা নয়- সেসঙ্গে আপনারা জানেন যে, দফায় দফায় জ্বালানি
তেলের দাম, গ্যাসের দাম, পানির দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে তিন বার গ্যাসের
দাম বাড়ানো হয়েছে।“

সরকারের ‘দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতাই’ এর প্রধান কারণ দাবি করে তিনি বলেন, “জনগণের
সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতা এবং তাদের যে দুর্নীতি প্রধান লক্ষ্য সেই লক্ষ্যে আমাদের দেশে
এখন জিনিসপত্রের দাম এভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে।“

তার অভিযোগ, “এ সরকার যতদিন থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা জোর করে দখল করে
আছে, ততদিন থেকে আমাদের এখানকার প্রায় ৭০টি প্রতিষ্ঠান আমাদের যে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো
রয়েছে, রাষ্ট্রের যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে অত্যন্ত সচেতনভাবে এই
সরকার ধবংস করে ফেলেছে।

“সম্প্রতি তারা যে কাজটা করেছে অত্যন্ত সচেতনভাবে যেখানে প্রজাতন্ত্রের যে নির্বাচন
৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হয় যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ইচ্ছামতো
সরকার গঠন করতে করতে পারে সেই ব্যবস্থাকে তারা একেবারে ধবংস করে ফেলেছে।”

এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারকে হটাতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার
আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব।

এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ইফতারে বিএনপির মির্জা
আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, শামুসর রহমান শিমুল
বিশ্বাস ও শ্যামা ওবায়েদ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতে
ইসলামীর আবদুল হালিম, জাগপার খন্দকার লুতফুর রহমান, এনডিপির আবু তাহের, ন্যাপ-ভাসানীর
আজহারুল ইসলাম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, মুসলিম
লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করীম, জমিয়তে উলামায়ে
ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম খান, ইসলামিক পাটির আবুল কাশেম, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ
মাহবুব হোসেন, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, লেবার পার্টির রামকৃষ্ণ সাহা, কল্যাণ পার্টির
মাহমুদ খানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।