অনলাইনে
‘হ্যাশট্যাগ ফর শ্রীলঙ্কা’ ক্যাম্পেইনে তহবিল সংগ্রহের জন্য ‘গো ফান্ড
মি’ নামে প্রচারণায় তিনিসহ আরও কয়েকজন মিলে ১০ লাখ ডলার
সংগ্রহ করতে চাইছেন।
কলম্বো
গ্যাজেটের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়োহানি জানিয়েছেন, জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়া
নিজ দেশের জন্য কিছু করার আবেগকে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার আরও কয়েকজন শিল্পী।
“একজন শিল্পী ও ব্যক্তি হিসেবে আমি আমার কর্মজীবনে
অরাজনৈতিক থেকেছি। আমার দল এবং আমি কোনো সুবিধা নেওয়া বা কারও সঙ্গে যুক্ত না হওয়ার
বিষয়ে সতর্ক রয়েছি এবং সেই নীতিতেই এগিয়ে যাব।
“কিন্তু দেশের একজন দূত হিসেবে একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে
আমার নীরবতা ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং পরিস্থিতির গভীরতা বিবেচনায় আমি আমার কণ্ঠ
দেশের মানুষের জন্য দিব।”
২০১৬
সালে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিয়মিত গান প্রকাশ করে আসছেন শ্রীলঙ্কার এই শিল্পী।
তার গাওয়া ‘‘মানিকে মাগে হিতে’ গানটি
প্রকাশের পর তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে যায়।
গত
বছরের শেষভাগে ইয়োহানির এই গানটি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। শ্রীলঙ্কা, ভারত ও বাংলাদেশ
ছাপিয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তে কণ্ঠের মায়াজাল ছড়িয়ে রাতারাতি তারকাখ্যাতি পান ২৮ বছর
বয়সী এ তরুণী।
চরম
অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২০ সালের জানুয়ারি
থেকে প্রায় ৭০ শতাংশ কমে এসেছে। জ্বালানি, খাদ্য এবং ওষুধ আমদানির অর্থ পরিশোধেও দেশটিকে
বেগ পেতে হচ্ছে।
বৈদেশিক
মুদ্রার রিজার্ভ সঙ্কটে খাদ্য ও ওষুধের দাম হু হু করে বাড়ছে, ফুরিয়ে আসছে এসব পণ্যের
মজুদ। চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, দুধ কিনতে মানুষকে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
দিনে
মাত্র চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে। জ্বালানি তেলের জন্য ফিলিং স্টেশনগুলোর
বাইরে লম্বা লাইন তৈরি হচ্ছে। জ্বালানি সঙ্কটে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ
উৎপাদন করতে পারছে না।
এমন
পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের পাশের দাঁড়াতে তহবিল সংগ্রহে মাঠে নেমেছেন অনলাইন দুনিয়ার
ভাইরাল শিল্পী ইয়োহানি।
কলম্বো
গেজেট লিখেছে, ১০ লাখ ডলারের তহবিল সংগ্রহের জন্য প্রবাসী, বন্ধু-সহকর্মী, অনুসারী,
প্রভাবশালী এবং অধিকারকর্মীদের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেবেন ইয়োহানি।
তহবিলের
যাবতীয় অর্থ এনএফপি এবং এনজিওগুলোর মাধ্যমে পুর্ণ নিরীক্ষিত একটি অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
একটি স্বীকৃত ডিজিটাল পেমেন্ট সেবার মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ শ্রীলঙ্কার ব্যাংকিং সিস্টেমে
ঢুকবে।
বৈদেশিক
রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য ওই তহবিলের যাবতীয় বরাদ্দ এনএফপি ও এনজিওগুলো নির্ধারণ করবে।
ইয়োহানি
লিখেছেন, “আমি আশা করি ভারতসহ সারা বিশ্বে আমার ভক্তরা এই প্রকল্পকে
সমর্থন দিয়ে শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়াবে। আমি আপনাদের কাছে সহায়তা চাওয়ার কারণে দুঃখ
প্রকাশ করছি, কিন্তু এই কঠিন সময়ে শ্রীলঙ্কার জনগণের এটা প্রয়োজন।”