সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শনিবার স্থানীয় সময় ঠিক সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া এই অধিবেশনেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উঠছে।
স্পিকার আসাদ কায়সারের সভাপতিত্বে, কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবটি আলোচ্যসূচির ৪ নম্বরে রয়েছে বলে জানিয়েছে ডন।
এদিন বিরোধী দলগুলোর প্রায় সব আইনপ্রণেতাকে দেখা গেলেও সরকারি দলের সামনের সারির সদস্যদের উপস্থিতি খুব একটা দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও অনুপস্থিত।
অধিবেশনের শুরুতে বিরোধীদলীয় নেতা শাহবাজ শরীফ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশী বক্তব্য রাখেন।
শাহবাজ স্পিকারকে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী অধিবেশন চালাতে বললে আসাদ কায়সার বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ীই অধিবেশন চলবে; এবং যেহেতু বিদেশি চক্রান্তের কথা উঠে এসেছে, তা নিয়েও আলোচনা হবে।
অল্প কিছুক্ষণ চলার পর অধিবেশন স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি করা হয়।
সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতা বিরুদ্ধে চলে যাওয়ায় এই আস্থাভোটে ইমরানের পরাজয় অনেকটাই সুনিশ্চিত।
তেহরিক-ই-ইনসাফ নেতা গদিচ্যুত হলে তার জায়গায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ভাই শাহবাজ শরীফই নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন বলে বিরোধীদের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
গত সপ্তাহে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি অনাস্থা প্রস্তাবটি ভোটে না দিয়ে বাতিল করে দিয়েছিলেন। এরপর জাতির উদ্দেশে ভাষণে এসে ইমরান জানান, তিনি প্রেসিডেন্টকে পার্লামেন্ট বাতিল করে দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
তাতে সাড়া দিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি পার্লামেন্ট ভেঙেও দেন।
এই পুরো প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিরোধী দলগুলো। চারদিনের শুনানি শেষে সর্বোচ্চ আদালত অনাস্থা প্রস্তাব বাতিলকে অসাংবিধানিক অ্যাখ্যা দিয়ে পার্লামেন্ট পুনর্বহাল ও অনাস্থা প্রস্তাবের কার্যক্রম শেষ করতে বলে।
এই সিদ্ধান্তের পরদিন এক ভাষণে ইমরান জানান, তিনি আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন, তবে ‘আমদানি করা সরকার’ মেনে নেবেন না।
বিদেশি চক্রান্তে তার সরকারকে উৎখাতের যে চক্রান্ত হয়েছে, তাতে সুপ্রিম কোর্ট নজর না দেওয়ায় তিনি যে নাখোশ, তাও লুকাননি তিনি।
রোববার এশার নামাজের পর সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে শামিল হওয়ারও ডাক দিয়েছেন তিনি।