ক্যাটাগরি

ভালো লোক নন বলে ভালো লোক পান না: সরকারকে ফখরুল

ঢাকায় ডায়রিরার সাম্প্রতিক প্রকোপের জন্য ওয়াসাকে দায়ী করে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দিকে ইঙ্গিত করে শনিবার এক সমাবেশে বক্তব্যে এই অভিযোগ করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, “তাকে বেতন দেওয়া হয় বাংলাদেশে সমস্ত কর্মকর্তাদের চাইতে সবচেয়ে বেশি, ৫ লক্ষ টাকার উপরে বেতন পায়। তাকে অনেকবার সরানোর চেষ্টা করা হয়েছে, সরাতে পারেনি। কারণ তিনি অত্যন্ত প্রিয় মানুষ আমাদের সরকার প্রধানের।

“এভাবে সমস্ত জায়গা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরদের দেখুন, যাদেরকে বসানো হয়েছে, তারা কী করে এখন? চুরি করে… কী লজ্জার কথা!”

“আরে আপনারা ভালো না বলেই তো ভালো লোককে পান না। ভালো লোক হলেই তো ভালো লোক পাওয়া যাবে,” সরকারের উদ্দেশে বলেন তিনি।

শনিবার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব।

ইশরাক হোসেনকে পুরনো মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বিরোধী দল দমনের ‘নতুন খেলা’ শুরু করেছে সরকার।

“কেন ইশরাককে গ্রেপ্তার করলেন? কারণ সে প্রতিবাদ করেছিল। শ্রমিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কেন মামলা দিলেন? তারা প্রতিবাদ করেছিল। তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে নতুন খেলা শুরু করেছে। সমস্ত বিরোধী দলকে আটক করে মিথ্যা মামলা দিয়ে তারা একতরফাভাবে নির্বাচন করে নিতে চায়।”

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য সরকারকে দায়ী করার পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়া দিয়ে ‘বেগুনি’ বানাতে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শের সমালোচনা করেন ফখরুল।

“এই রোজার মাস আমরা একটা শসা কিনতে পারি না, এই রোজার মাসে আমরা একটি বেগুন কিনতে পারি না। দুঃখ হয় যখন প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে রান্নার নতুন রেসিপি দেন। তিনি বলেছেন যে, মিষ্টি কুমড়া দিয়ে বেগুনি বানাও!”

বাজারে কারসাজিতে বিএনপি জড়িত বলে আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, “আরে ভাই, বিএনপি যদি সব কিছু ঘটাতে পারে তাহলে তোমরা ক্ষমতায় আছ কেন? ক্ষমতা ছেড়ে দাও, বিএনপির হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দাও। দেখ, আমরা দেশ চালাতে পারি কি না?”

বর্তমান সরকার সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে তাদের হটাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুল।

“এরা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ এবং এরা দেশের ক্ষতি করছে। তাই আর একদিন/দুইদিন যদি এদেরকে রাখা যায়, এদেশের অস্তিত্ব থাকবে না। আসুন যত দ্রুত সম্ভব নিজেদেরকে সংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।”

শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম মঞ্জুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন কবির খান, ফিরোজ-উজ-জামান মোল্লা, উপস্থিত ছিলেন।

শ্রমিক দলের আবুল খায়ের খাজা, আবুল কালাম আজাদ, মেহেদি আলী খান, জাহাঙ্গীর আলম, আসাদুজ্জামান বাবুল, মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, জুলফিকার মতিন, কাজী আমীর খসরু, খোরশেদ আলম সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।