শনিবার দুপুরে জেলার জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাট থেকে গাইবান্ধার
ফুলছড়ি উপজেলার বালাসী ঘাটের পথে পরীক্ষামূলক লঞ্চ চলাচল উদ্বোধন করেন নৌ প্রতিমন্ত্রী
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
যমুনা নদীতে নাব্য হ্রাসের কারণে ২০০০ সালে এই পথটি বন্ধ হয়ে যায়; ২২ বছর
পর পরীক্ষামূলকভাবে পথটি চালু করা হয়।
বালাসী-বাহাদুরাবাদ নৌপথে লঞ্চ সার্ভিস চালু হওয়ায় ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের
আটটি জেলায় যাতায়াতে অন্তত তিন ঘণ্টা সময় কমবে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদীর প্রবাহ
নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসূ হলে নদীর নাব্য ফিরে আসবে; তখন নৌ চলাচলে
কোনো বাধা থাকবে না।
এরই মধ্যে সাত হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী
বলেন, ”আমাদের লক্ষ্য ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ। অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ প্রায়
১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাহাদুরাবাদ-বালাসী ঘাটে যে টার্মিনাল তৈরি করেছে তা ধরে রাখার
জন্যই নির্মাণ করা হয়েছে।”
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দেওয়ান মো.
ইমরান বলেন, ১৯৩৮ সালে বাহাদুরাবাদ-তিস্তামুখ ঘাট নৌপথ চালুর পর এই রুটের মাধ্যমে ঢাকা-দিনাজপুর
রেল যোগাযোগ চালু ছিল। উত্তরাঞ্চলের আট জেলার মানুষ ফেরি পারাপারের পর ট্রেনে করে ঢাকায়
যেতেন।
তিনি বলেন, “বালাসী-বাহাদুরাবাদ নৌপথে লঞ্চ সার্ভিস চালু হওয়ায় ঢাকার সঙ্গে
উত্তরাঞ্চলের আট জেলায় যাতায়াতে অন্তত তিন ঘণ্টা সময় কমবে। চাপ কমবে যমুনা সেতুর ওপর।”
উদ্বোধনের সময় বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, দেওয়ানগঞ্জ
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোলায়মান হোসেন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার
শেফা উপস্থিত ছিলেন।