ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আফগানিস্তান দল বর্তমানে আবু ধাবিতে আছে। সেখানে একই সঙ্গে চলছে তাদের অনুশীলন ক্যাম্প।
গত বছর তালেবানরা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর থেকে দেশটির নাগরিকদের জন্য অন্য দেশের ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে উঠেছে। আরব আমিরাতের আবাসিক ভিসা আফগান খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের দীর্ঘ সময় দেশটিতে থাকার সুযোগ করে দেবে। একই সঙ্গে আফগানিস্তানে সশরীরে উপস্থিত না থেকেও অন্যান্য দেশের ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে।
আগামী অগাস্টে আয়ারল্যান্ড সফরে যাবে আফগানিস্তান দল। এজন্য দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) এখন আবু ধাবি থেকে দলের জন্য যুক্তরাজ্যের ভিসার আবেদন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসিবি এক বিবৃতিতে বলেছে, ক্রিকেটার-কর্মকর্তাদের জন্য আরব আমিরাতের আবাসিক ভিসা নেওয়াটা প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
“আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড প্রায়ই সংযুক্ত আরব আমিরাতে অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে সিরিজ আয়োজন করে। তাই বেশ কিছু কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়ের অবশ্যই সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন।”
ভিসা জটিলতা এড়াতে এটিই এসিবির প্রথম কোনো বড় পদক্ষেপ। গত জানুয়ারিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের জন্য আফগান যুবাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়া বিলম্বিত হয়েছিল ভিসা সমস্যার কারণে। ফলে কয়েকটি ওয়ার্ম-আপ ম্যাচের সূচি পুনর্নির্ধারণ করতে হয়েছিল। আইসিসির হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ভিসা দেওয়া হয়েছিল তাদের।
গত কয়েক বছরে শারজাহ (২০১০-২০১৩), লাহোর (২০১৩-২০১৫) ও ভারতের গ্রেটার নয়ডায় (২০১৬-২০১৮) হোম সিরিজগুলো আয়োজন করেছে আফগানিস্তান। ২০১৯ সালের শুরু থেকে আবার আরব আমিরাতে ফিরেছে তারা।
তালেবানরা ক্ষমতা দখলে নেওয়ার ফলে দেশটির ক্রিকেট পরিচালনায় তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে এসিবির কাঠামোতে একাধিক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে এর প্রধান হিসেবে আছেন আফগানিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার মিরওয়াইস আশরাফ।
ল্যান্স ক্লুজনারের বিদায়ের পর আফগানিস্তান সম্প্রতি ইংল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান গ্রাহাম থর্পকে প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানের ব্যাটিং গ্রেট ইউনিস খানকে ব্যাটিং পরামর্শক ও দেশটির সাবেক পেসার উমর গুলকে বোলিং পরামর্শক হিসেবে স্বল্প মেয়াদে দায়িত্ব দিয়েছে তারা।
রশিদ খান, মোহাম্মদ নবিরা শিগগিরই আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে পারে। সিরিজটি হওয়ার কথা ছিল গত বছরের অগাস্টে, কিন্তু লজিস্টিক কারণে স্থগিত করা হয়েছিল তখন।
পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলতে আফগানিস্তান আগামী অগাস্টে আয়ারল্যান্ড সফরে যাবে। এই সফরে প্রাথমিকভাবে একটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলার কথা ছিল। কিন্তু অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এই সংস্করণে পাঁচ ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।