ক্যাটাগরি

শরীয়তপুরে ‘পীরের মুরিদের’ বাড়িতে ঢিল ছোঁড়া নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১২

উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের দড়িচর দাদপুর গ্রামে শনিবার রাতে এ ঘটনায় মামলার পর এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে পালং মডেল থানার ওসি মো. আক্তার হোসেন জানান।

আহতরা হলেন- এমদাদ মাদবর (৫০), মালেক মাদবর (৬০), আব্দুল হক মাদবর (৪২), ফারুক মাদবর (৩০), বাবুল মাদবর (২৩), শাহ আলম মাদবর (৪০), ইমন মাদবর (২০), রানী বেগম (৩০), রেবেকা বেগম (৩০), আনোয়ার মাদবর (৩০), লোকমান খান (৪০)। আরেকজনের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম হান্নান মাদবর। তার বাড়ি আংগারিয়া ইউনিয়নের দড়িচর দাদপুর গ্রামে।

পুলিশ জানায়, আহদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাবুল ও আব্দুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।

ঘটনার বর্ণনায় ওসি বলেন, “দড়িচর দাদপুর গ্রামের চন্দ্র পাড়া পীরের মুরিদ হালেম মাদবর প্রায়ই রাতে চিৎকার করে জিকিরি করেন। শুক্রবার রাতেও হালেমের জিকির করার সময়ে প্রতিবেশী নান্নু মাদবর ও সিরাজুল ইসলাম মাদবরের ছেলেসহ আরও কয়েকজন তার বাড়িতে ঢিল ছোঁড়ে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন রাতে নান্নু ও হালেমের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান তারা। এ সময় বাবুলের ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল বিছিন্ন হয়ে যায় এবং ১০ থেকে ১২ জন আহত হন।”

এ ঘটনায় রাতেই হালেম পালং মডেল থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ওসি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হালেম বলেন, “নান্নু মাদবরের ছেলেরা মিলে আমার ঘরে ঢিল ছোঁড়ে। আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের লোকজনের উপর হামলা করে। এরপর সংঘর্ষ বাঁধে।”

আর অভিযোগ অস্বীকার করে নান্নু বলেন, “চিৎকার দিয়ে হালেম জিকির করায় কে বা ঢিল ছুঁড়েছে। এ জন্য আমাদের মসজিদের ইমামসহ সবাইকে সে বকাবকি করেছে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়েছে। আমি ঢিল ছোঁড়ার বিষয়ে কিছু জানি না।”