পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের দ্বিতীয় দিন ৪৫৩ রানে থামে স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস।
এদিন শেষ ৫ উইকেটে ১৭৫ রান যোগ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে সবচেয়ে বড় অবদান মহারাজের। আগের সেরা ৭৩ ছাড়িয়ে ৯৫ বলে ৩ ছক্কা ও ৯ চারে ৮৪ রান করেন তিনি।
১৩৫ রানে ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফলতম বোলার তাইজুল। দেশের বাইরে এটাই তার সেরা বোলিং। গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কায় ৭২ রানে নিয়েছিলেন ৫টি।
সেন্ট জর্জেস পার্কে শনিবার ৫ উইকেটে ২৭৮ রান নিয়ে দিন শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। কাইল ভেরেইনা ও ভিয়ান মুল্ডার এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে।
দিনের পঞ্চম ওভারে ভেরেইনা শট খেলার পর জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারপরও মেজাজ হারিয়েই কী-না সরাসরি তার দিকে থ্রো করে বসেন পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ। এ নিয়ে মাঠে ছড়ায় উত্তেজনা।
পরের ওভারেই দারুণ এক ডেলিভারিতে ভেরেইনাকে বোল্ড করে দেন খালেদ। ৩০০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ক্রিজে গিয়েই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে রান বাড়াতে থাকেন মহারাজ। এলোমেলো ব্যাটিং নয়, ক্রিকেটীয় শট খেলেই মারতে থাকেন একের পর এক বাউন্ডারি। তাকে সঙ্গ দিয়ে যান মুল্ডার। তাদের ৮০ রানের জুটি ভাঙেন তাইজুল, দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে দেন মুল্ডারকে।
মহারাজ খেলে যাচ্ছিলেন নিজের মতো করে। যেভাবে খেলছিলেন তাতে সেঞ্চুরি মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু তা হতে দেননি তাইজুল। চমৎকার এক ডেলিভারিতে তাকে বোল্ড করে দিয়ে পূর্ণ করেন ৫ উইকেট। টেস্টে দশমবারের মতো ৫ উইকেট নিলেন তিনি।
বাংলাদেশের বিরক্তি বাড়িয়ে আবার ক্রিজে জমে গিয়েছিলেন সাইমন হার্মার। তাকে বিদায় করে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টেস্টে দেড়শ উইকেটের সীমানা স্পর্শ করেন তাইজুল।
এই উইকেটে বড় অবদান আছে লিটন দাসের। একটু সময়ের জন্য পা তুলেছিলেন হার্মার। সেটাই কাজে লাগিয়ে স্টাম্পড করে দেন লিটন। লিজাড উইলিয়ামসকে ফিরিয়ে বাকিটা সারেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
১০০ রানে ৩ উইকেট নেন খালেদ। ২৮ ওভারে ১২১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ইবাদত হোসেন। মিরাজের একমাত্র উইকেটটি এসেছে ৮৫ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ১৩৬.২ ওভারে ৪৫৩ (এলগার ৭০, এরউইয়া ২৪, পিটারসেন ৬৪, বাভুমা ৬৭, রিকেলটন ৪২, ভেরেইনা ২২, মুল্ডার ৩৩, মহারাজ ৮৪, হার্মার ১৯, উইলিয়ামস ১৩, অলিভিয়ের ০*; খালেদ ২৯-৬-১০০-৩, মিরাজ ২৬.২-৪-৮৫-১, ইবাদত ২৮-৩-১২১-০, তাইজুল ৫০-১০-১৩৫-৬, শান্ত ৩-০-৯-০)।