যুদ্ধের
আগ পর্যন্ত রাশিয়াই ছিল ইউক্রেইনের মূল বাণিজ্য অংশীদার; প্রতিবছর দেশটি থেকে কিইভ
প্রায় ৬০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করত বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ফেব্রুয়ারির
শেষ সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেইনে ‘অভিযান’ শুরু করার পর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য
কার্যত বন্ধ হয়ে আছে।
শনিবার
ইউক্রেইন আনুষ্ঠানিকভাবে এ সংক্রান্ত আইন জারি করল।
“আজ আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রাসক রাষ্ট্রের সঙ্গে
পণ্য লেনদেন পুরোপুরি বন্ধ করে দিচ্ছি। এখন থেকে রাশিয়া ফেডারেশনের কোনো পণ্য আমাদের
দেশে আমদানি হবে না,” শনিবার নিজের ফেইসবুক পেইজে এমনটাই লিখেছেন ইউক্রেইনের
অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া স্ভিরিদেনকো।
ইউক্রেইনের
মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতে ইউরোপের দেশগুলোর প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
“শত্রুদের বাজেট আর আমাদের আমদানির বিনিময়ে অর্থ পাবে
না, যা যুদ্ধে খরচের সক্ষমতা কমাবে তাদের। এ ধরনের পদক্ষেপ আমাদের পশ্চিমা অংশীদারদের
জন্য উদাহরণ হিসেবে থাকল পাশাপাশি এটা তাদেরকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞায় উৎসাহ
যোগাবে,” বলেছেন তিনি।
ইউক্রেইনের
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বারবারই পশ্চিমা দেশগুলোকে রাশিয়ার তেল ও অন্যান্য
রপ্তানি পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়ে আসছেন। রাশিয়ায় পণ্য রপ্তানি বন্ধেও তাগাদা দিচ্ছেন
তিনি।
ইউক্রেইনে
রাশিয়ার হামলা শুরুর পর পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর ওপর এত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যে আর কোনো
বড় অর্থনীতি আর কখনোই এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়নি।
রাশিয়ার
ওপর সামনে আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে, রোববার এমনটাই বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
বরিস জনসন।