একদল চোর প্রকাশ্য দিবালোকে লোহার তৈরি ৬০ ফুট লম্বা একটি সেতু কেটে নিয়ে গেছে। পুলিশ বলছে, চোরেরা খুব সম্ভবত সেটি কেটে টুকরো টুকরো করে পুরানো লোহা হিসেবে ভাঙারি দোকানে কেজি দরে বিক্রি করে দিয়েছে।
রোববার পুলিশ জানায়, চোরের দল নিজেদের সেচ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তার ভুয়া পরিচয় দিয়ে বিহারের রাজাধানী পাটনা থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরের অমিয়ওয়ার গ্রামে যায় এবং গ্যাস কাটার ও মাটি সরানোর যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে পরিত্যক্ত একটি লোহার সেতু কেটে নিয়ে যায়।
ভারতে পুরানো ধাতু কেনা-বেচার জমজমাট ভাঙারি ব্যবসা রয়েছে। সাধারনত ভাঙারির দোকানগুলোতে চুরি করা ধাতব বস্তু বিক্রি করা হয় এবং সহজেই নগদ অর্থ পাওয়া যায়।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, অমিয়ওয়ার গ্রামের বাসিন্দারা ভেবেছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা পরিত্যক্ত পুরাতন লোহার সেতুটি সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই সেটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
তিন দশক আগে একটি খালের উপর ওই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। সেটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ায় গ্রামবাসীরা কয়েক দিন আগে সেচ অধিদপ্তরের কাছে সেতুটি সরিয়ে ফেলার আবেদন করেছিল বলে জানান স্থানীয় এক বাসিন্দা।
ঘটনার বর্ণনায় গান্ধী চৌধুরি নামে ২৯ বছরের এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘লোকজন ভারি যন্ত্রপাতি, গ্যাস কাটার এবং শ্রমিক নিয়ে এসে দুইদিন ধরে সেতুটি কেটে সরিয়ে নেয়। তারা দিনের বেলাতেই কাজ করেছে।”
স্থানীয়রা শ্রমিকদের জিজ্ঞাসা করেছিল, তারা কার অধীনে কাজ করছে। তখন তারা বলেছিল, সেচ অধিদপ্তর তাদের ভাড়া করেছে। এ সপ্তাহের শুরুতে সেতুর টুকরোগুলো একটি গাড়িতে করে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই সেচ বিভাগের পক্ষ থেকে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সুভাষ কুমার নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘‘আমরা চোরের দলের কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছি। আরও কয়েকজনের খোঁজে অভিযান চলছে।”