রোববার দলীয় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সামনে ঈদ। মানুষ তার নাড়ির
টানে বাড়ি যায়। বাবা-মায়ের কাছে যায় ঈদ করতে। রাস্তাঘাটের অবস্থা আমরা দেখছি কেমন।
মানুষ যাতে স্বস্তির সঙ্গে বাড়ি যেতে পারে সেজন্য সরকারকে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।”
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তরের
দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে জি এম কাদের এ কথা বলেন।
রাজধানীর যানজট নিরসনে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না অভিযোগ করে সংসদের
বিরোধী দলীয় উপনেতা কাদের বলেন, “মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম
নাগালের বাইরে। যানজট এমন জায়গায় গেছে, জরুরিভাবে কোনো রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার উপায়
নেই। রাস্তাতেই রোগী মারা যাবে। মানুষ নরক যন্ত্রণা ভোগ করছে।
“এই সমস্যা সমাধানে সরকারের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। আর কত দিন? কীভাবে
এই সমস্যার সমাধান হবে? সরকার কী করছে?”
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জি এম
কাদের বলেন, “জনগণের সামনে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। না হলে জাতীয় পার্টির দিকে
মানুষ ফিরেও তাকাবে না। দল এক সাথে চলবে। যারা দলছুট হয়ে দালালি কারতে চায় তারা যেন
সেখানে চলে যায়।”
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবল হক চুন্নু অনুষ্ঠানে বলেন, “এখন রমজান
মাস, মানুষ সংযম পালন করছে। ঈদের পর মানুষের কথা মাথায় রেখে জাতীয় পার্টি সংযম রাখবে
না। আগামীতে জাতীয় পার্টি কারও লেজুড়বৃত্তি করবে না। দালালি করবে না। কারও দরকার হলে
তারা জাতীয় পার্টির দালালি করবে।”
দলীয় চেয়ারম্যানের উদ্দেশে চুন্নু বলেন, “ঘরের ইঁদুর পিষে ফেলতে হবে।
কারও দালালি করলে তার জায়গা জাতীয় পার্টিতে হবে না। আপনি দৃঢ়ভাবে নেতৃত্ব দিন। ঈদের
পর পুরো বাংলাদেশ চষে ফেলতে হবে।”
মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের
মধ্যে মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠান বক্তব্য দেন।