সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে আগামী মঙ্গলবার এএফসি কাপের বাছাইয়ের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের দ্বিতীয় ধাপের ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে দুই দলের। কদিন ধরে সিলেটে অনুশীলন করছে আবাহনী। সোমবার সিলেটে আসার কথা ভালেন্সিয়ার। কিন্তু তাদের না আসা নিয়ে রোববার দিনভর গুঞ্জন চলেছে।
মালদ্বীপের একটি দৈনিক নাম উল্লেখ না করে ভালেন্সিয়ার এক অফিসিয়ালের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছে, আর্থিক সমস্যার কারণে আসতে পারছে না ক্লাবটি। বিষয়টি তারা এএফসিকে জানিয়েছে বলেও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের একটি সুত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছে, এএফসির কাছ থেকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকার কথা।
“ভালেন্সিয়া এএফসিকে চিঠি দিয়ে তাদের আর্থিক সমস্যার কারণে আসতে না পারার কথা জানিয়েছে। এজন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি এএফসি আমাদেরকেও আনঅফিসিয়ালি জানিয়েছে।”
“আমরা জানতে চেয়েছিলাম, তাহলে সিদ্ধান্ত কী হবে? এএফসি আগামীকাল (সোমবার) আমাদের জানাবে বলে জানিয়েছে। তবে ভালেন্সিয়া না এলে নিয়ম অনুযায়ী আবাহনী ওয়াকওভার পাবে। মালদ্বীপের দলটিকে জরিমানাও করা হতে পারে। তবে সবকিছু এখনও আনঅফিসিয়াল পর্যায়ে রয়েছে।”
এএফসি কাপের গত আসরের প্লে-অফ থেকে বাদ পড়েছিল আবাহনী। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের থাবায় অনেক দেশে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় দলটিকে বাদ দিয়েছিল এএফসি। ওই সিদ্ধান্তে ‘ওয়াকওভার’ পেয়ে প্লে-অফে খেলার সুযোগ পেয়েছিল মালদ্বীপের দল ঈগলস।
অবশ্য এই ধাপে ওয়াকওভার পেলেও আবাহনীকে মূল পর্বে সুযোগ পেতে হলে পেরুতে হবে আরেক ধাপ। প্লে-অফে তাদের লড়তে হবে ভারতের মোহনবাগান ও শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টারের মধ্যে জয়ী দলের বিপক্ষে।
এই বাধা পেরুতে পারলে ‘ডি’ গ্রুপে জায়গা পাবে আবাহনী। সেখানে আগে থেকেই আছে বাংলাদেশের লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস, ভারতের গোকুলাম কেরালা ও মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস।