চতুর্থ দিন দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ১৩৬.২ ওভারে ৪৫৩ বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৭৪.২ ওভারে ২১৭ দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: ৩৯.৫ ওভারে ১৭৬/৬ (ডি.) বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ১২.১ ওভারে ৩৮/৫ |
দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যর্থ রিভিউ
দিনের প্রথম বলেই মিলল টার্ন ও বাউন্স। সেটা সবাইকে ফাঁকি
দিয়ে চলে যায় সীমানার বাইরে। সাইমন হার্মারের করা পরের বল অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে থেকে
স্পিন করে আঘাত হানে মুশফিকুর রহিমের প্যাডে। আম্পায়ার এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া না
দিলে রিভিউ নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
বাড়তি বাউন্সের জন্য বল যেত স্টাম্পের উপর দিয়ে, ব্যর্থ
হয় স্বাগতিকদের রিভিউ।
স্পিনে বাংলাদেশের ভোগান্তি
প্রথম টেস্টের পর মুমিনুল হক বলেছিলেন, দেশের বাইরে খেলতে এসে স্পিনারদের উইকেট দেওয়া ক্রাইম। দ্বিতীয় টেস্টেও স্পিন সামলানোয় চিত্রটা প্রায় একই। পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টেও স্পিনের সামনে ধুঁকছে বাংলাদেশ। দুই ইনিংস মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৮ উইকেট নিয়েছেন কেশভ মহরাজ ও সাইমন হার্মার।
তৃতীয় দিন শেষে খেলার যা চিত্র, তাতে বাকি ৩৮৬ রান বাংলাদেশের দৃষ্টি সীমার অনেক বাইরে। শেষ ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচ পঞ্চম দিনে নিয়ে যাওয়াও অনেক দূরের পথ।
৪১৩ রানের প্রায় অসম্ভব লক্ষ্য তাড়ায় রোববার শেষ বেলায় ২৭ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এর দুটি নেন মহারাজ, অন্যটি হার্মার।
দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ জানান, দক্ষিণ আফ্রিকায় এসে স্পিনে এই ভোগান্তি তাকে কষ্ট দিচ্ছে। দেশের মাটিতে স্পিন সহায়ক উইকেটে খেলার, অসংখ্য স্পিনার সামলানোর অভিজ্ঞতার ছাপ এখন পর্যন্ত রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। সেটা করার শেষ সুযোগ মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিমদের সামনে।