ক্যাটাগরি

ঈদে শ্রমিকদের ১৫ দিনের বেতনসহ বোনাস দেওয়ার নির্দেশ

সোমবার বিজয়নগর শ্রমভবনে এ সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি শিল্প কারখানাগুলোর জন্য এ নির্দেশনা দেন।

সভায় মালিক-শ্রমিক ও সরকারি সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (টিসিসি) এবং আরএমজি বিষয়ক দ্বিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (আরএমজি টিসিসি) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

শ্রম প্রতিমন্ত্রী মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “ঈদের ছুটির আগে প্রথমে বোনাস পরিশোধ করবেন। তারপর বেতন পরিশোধ করবেন। সর্বশেষ এপ্রিল মাসের অন্তত ১৫ দিনের বেতনও পরিশোধ করতে হবে।”

সরকারি ছুটি অনুযায়ী শ্রমিকদের ঈদের ছুটি হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এর বাইরে মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিরা পারস্পরিক আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে ছুটি বাড়াতে পারবেন।”

কোনো কারখানায় জরুরি রপ্তানি আদেশ থাকলে শ্রমিকদের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে ঈদের ছুটিতে কাজ চালিয়ে নেওয়া যাবে বলেও জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী।

“যদি জরুরি রপ্তানি আদেশের মতো কোনো কিছু থাকে। যদি ঈদের ছুটির ভেতরে ২/৩ দিন কাজ করলে রপ্তানি চালানটা সফল করা যায়। তাহলে মালিকপক্ষ সেটা শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে ঠিক করে নেবেন।”

মালিকপক্ষ সরকারি ছুটির পাশাপাশি নিজেদের পরিকল্পনামতো ঈদের ছুটি বাড়িয়ে দিতে পারবেন বলেও সিদ্ধান্ত হয়। তবে যানজট এড়াতে পালা করে ধাপে ধাপে ছুটি দেওয়ার প্রস্তাবে সবাই একমত না হওয়ায় চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বেতন-বোনাস পরিশোধের ক্ষেত্রে কোনে সময় বেঁধে দেওয়া ঠিক হবে না বলে মত দেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ প্রতিনিধি মনসুর খালেদ।

“বেতন বোনাস পরিশোধের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো দিন-তারিখ ঠিক করে দিলে ওই তারিখ মিস করার ফলে কারখানা মালিকদের ওপর চাপ বেড়ে যায়। গণমাধ্যমে চলে আসে এত পারসেন্ট শ্রমিক বোনাস পায়নি।

“এধরনের নেগেটিভ পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেয়ে এভাবে যদি নির্দেশটা দেওয়া হয় যে, প্রত্যেক মালিককে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন বোনাস দিয়ে খুশি করে বাড়িতে পাঠাতে হবে। এটা করা হলে প্রেশারটা কমবে।”

ছুটির বিষয়ে তিনি বলেন, “আট দিন কিংবা ১০ দিন ছুটির বিষয়টি এই বৈঠক থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া ঠিক হবে না। শ্রম আইন অনুযায়ী যতদিন ছুটি দরকার ততদিনই ছুটি দেওয়া হবে।

“এটা কারখানা থেকে কারখানায় ভিন্ন হতে পারে। প্রতিটি কারখানা তাদের শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ছুটি ঠিক করবেন।”

জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি মিরাজুল ইসলাম রনি, সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার, ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল আলম রাজু, ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সভাপতি মীর আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।