ক্যাটাগরি

মুশফিকের রিভার্স সুইপ নিয়ে বেশি কথা না বলতে মুমিনুলের অনুরোধ

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের তৃতীয় দিনে মুশফিকের আলোচিত ওই শট। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তখন মাত্রই ফিফটি করেছেন, বলা যায় দলের শেষ ভরসা হয়ে টিকে আছেন উইকেটে। লাঞ্চ বিরতির বাকি তখন মাত্র চার মিনিট। ওই সময়টাতেই আচমকা রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান তিনি। এরপর আর বেশি দূর এগোতে পারেনি বাংলাদেশের ইনিংস।

পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই শট এতটাই অবিশ্বাস্য ও অভাবনীয় ছিল যে ধারাভাষ্যকাররাও বিস্মিত হন প্রবল। সংবাদমাধ্যমে চলতে থাকে আলোচনা-সমালোচনা। দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ কড়া সমালোচনা করে বলেন, অমন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে ওই সময়ে এমন শট তারা আশা করেননি মোটেও। তিনি প্রশ্ন তোলেন, সীমিত ওভারে প্রয়োজন বুঝে ওই শট খেললেও টেস্টে কেন খেলতে হবে।

মুমিনুলের মনে যদিও কোনো প্রশ্ন নেই। ওই শট নিয়ে আলোচনার ঢেউ আছড়ে পড়ে চতুর্থ দিনে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়কের সংবাদ সম্মেলনে। তিনি বলেন, মুশফিকের ওই শটে তিনি সমস্যার কিছু দেখেননি।

“ওয়ানডে, টেস্ট, টি-টোয়েন্টি, যেসব জায়গায় খেলা হয়, উনি কিন্তু… আমি জানি না, আপনারা হয়তো খুব বেশি কথা বলতেই পারেন। কিন্তু রিভার্স সুইপ তো ক্রিকেটের একটা শট, তাই না? ক্রিকেটের বাইরের শট তো নয়। এই শট তো খেলতেই পারেন। উনার গেম প্ল্যান-এ থাকলে তো খেলবেই। আর এমন নয় যে এটা খেলে উনি রান করেননি বা খুব অসফল। আমার কাছে মনে হয় উনাকে সাপোর্ট করা উচিত এবং আমি সাপোর্ট করি।”

মুশফিক এই শট সব সংস্করণেই নিয়মিত খেলেন বটে। এই শটে রান করেন যেমন, তেমনি আউটও হন অনেক। তার এই শট নিয়ে এত আলোচনা উচ্চ ঝুঁকির কারণেই। প্রশ্ন থাকে, রিভার্স সু্ইপ যতটাই কার্যকর হোক, সেটির জন্য এত বড় ঝুঁকি কি নেওয়া উচিত?

পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের ক্ষেত্রে শটের চেয়েও বেশি সমালোচনা শট খেলার সময় ও পরিস্থিতি নিয়ে। দলের বিপর্যয়ের মধ্যে মূল ভরসা হয়ে লাঞ্চের ঠিক আগে অমন শট যে কোনো বিবেচনাতেই হওয়ার কথা বিস্ময়কর। কোচ, ম্যানেজমেন্ট, অধিনায়ক বা দলের কেউ মুশফিকের সঙ্গে এটি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন কিনা, সেই প্রশ্ন উঠল সংবাদ সম্মেলনে।

মুমিনুল যা বললেন, তাতে তারা তো আলোচনা করবেনই না, উল্টো তিনি সংবাদমাধ্যমকেও অনুরোধ করলেন আলোচনা না করতে।

“এই শটে উনি সফল কিন্তু! আপনিও দেখেছেন, আমিও দেখেছি। একটা সময় কিন্তু আমার সময়ও ছিল বা অনেকের সময় ছিল। আমি আপনাদের অনুরোধ করতে পারি, আপনারা যদি জিনিসটা এভাবে… আপনারা অনুরোধ মানলে বাংলাদেশ দলের জন্য ভালো, সিরিয়াসলি…।”

“আপনারা যদি জিনিসটা নিয়ে অনেক বেশি জোর দেন, উনাকে অনেক বেশি বলতে থাকলে এটা উনার নিজের জন্য খারাপ, আমাদের দলের জন্য খারাপ, বাংলাদেশ দলের জন্য খারাপ, আপনার দেশের জন্য খারাপ।”