ডারবানে
প্রথম টেস্টে দারুণ বোলিংয়ে সুর বেঁধে দেন হার্মার। দুই ইনিংস মিলিয়ে এই অফ স্পিনার
নেন ৭ উইকেট। কলপ্যাক চুক্তি শেষে সাড়ে ছয় বছর পর এই সিরিজ দিয়ে ফেরা হার্মার দ্বিতীয়
টেস্টে নেন ৬ উইকেট।
কিংসমিডে
দারুণ বোলিং করলেও প্রথম ইনিংসে উইকেট পাননি মহারাজ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়ে
বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে দেন ৫৩ রানে।
পোর্ট
এলিজাবেথে দ্বিতীয় ইনিংসের ৭টিসহ নেন ৯ উইকেট। মূলত তার স্পিনেই ৮০ রানে গুটিয়ে যায়
বাংলাদেশ।
যারা
বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে অজস্র স্পিনারদের খেলে, বড় হয় স্পিন সহায়ক উইকেটে খেলে, তারাই
কী-না স্পিনে এমনভাবে ধসে গেল! বিস্ময়ের ঘোর কাটার আগেই যেন স্তব্ধ করে দিলেন মুমিনুল।
“এটা
তো আগে থেকেই সবাই জানে, উঁচু মানের স্পিন বোলিংয়ের বিপক্ষে আমরা ভালো খেলি না।
আমাদের দুয়েক জন ছাড়া আর কেউ স্পিন খুব ভালো খেলে না। স্পিন কোন দিক দিয়ে কীভাবে
খেলতে হবে, সেটা হয়তো আমরাও বুঝি না। এসব জায়গায় উন্নতি করতে হবে।”
প্রথম
বোলার হিসেবে টানা দুই টেস্টে ইনিংসের চতুর্থ ইনিংসে ৭ উইকেট করে নিলেন মহারাজ। দেশে
এতো খেলার পরও একজন বাঁহাতি স্পিনারের হাতে নাস্তানাবুদ হওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন মুমিনুল।
“আমাদের
উইকেট আর এখানকার উইকেটের একটু ভিন্নতা আছে। উপমহাদেশে যারা বোলিং করে তারা ‘সাইড
স্পিন’ করে, যেটা আমাদের দেশে খুব কাজে দেয়। এটা আমাদের দেশে ও উপমহাদেশের জন্য খুব
গুরুত্বপূর্ণ। আর এই সব জায়গায় সাইড স্পিন খুব একটা কাজে দেয় না। এখানে ‘ওভার স্পিন’
কার্যকর।”
“আমাদের
বোলাররা হয়তো কন্ডিশনের জন্য সাইড স্পিন করে। এখানে এসে ওরা ওভার স্পিন করবে, (এতো
সহজ নয়)। ওভার স্পিনের জন্য টেকনিক্যাল পরিবর্তন করতে হয়। তখন তার আগের টেকনিকের
সমস্যা হতে পারে। আর ঘরোয়া ক্রিকেটের স্পিনার এবং আন্তর্জাতিক স্পিনারের মানে অনকে
পার্থক্য আছে।”